বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ১১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর গেলো ২৪ ঘণ্টায় ছয় জেলায় ৬৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন।
এদিকে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার মৃত্যু নুরে আলমের (৫৫) নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। এ নিয়ে বিভাগটিতে অধ্যাবধি মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭ জনে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ (বিসিসি) বিভাগের ছয় জেলায় মোট ২৩ হাজার ৩৩৭ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ২০ হাজার ৭৭ জনকে। আর এর মধ্যে ১৬ হাজার ৯৪০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৩ হাজার ২৬০ জন। আর এ পর্যন্ত এক হাজার ৫৯১ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৪৭৯ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৯৬৭ জনকে। এছাড়া এ পর্যন্ত শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় এক হাজার ৭৫৭ জন, পটুয়াখালীতে ৫৪২ জন, ভোলায় ৩৪৫ জন, পিরোজপুরে ৩১০ জন, বরগুনায় ৩২০ ও ঝালকাঠিতে ২৬৩ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গোটা বিভাগে এক হাজার ২২৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভাগটিতে করোনায় মৃত্যু ৭৭ জনের মধ্যে বরিশাল নগরসহ জেলায় ৩০ জন, পটুয়াখালীতে ২২ জন, ঝালকাঠিতে ১০ জন, পিরোজপুরে পাঁচ জন, বরগুনায় পাঁচ জন ও ভোলায় পাঁচ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
এমএস/আরআইএস