মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর হয়েছে যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ করোনা চিকিৎসার জন্য রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছে অধিদপ্তর।
এরপর ১২ জুলাই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ কে বা কারা- তা জানতে চাওয়া হয়।
মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের এমন ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে আবারো খবর প্রকাশের মধ্যে মুখ খুললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কতটুকু হয়েছে তা সরকার খতিয়ে দেখছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের কঠোর বিচার করতে হবে এবং তাদের প্রশ্রয়দানকারীদের বিরুদ্ধেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধিদপ্তরের কোনো সমস্যা চলছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অধিদপ্তরের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো সমস্যা নেই। দু’টিই সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। দু’টি প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে কোভিড-১৯ এর দুর্যোগ মোকাবিলায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটি সরকারের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের একটি অংশ মাত্র। এটি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সমস্যার কোনো ব্যাপার নয়।
অনৈতিক কর্মকাণ্ড করলে দ্রুত ব্যবস্থা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন।
মন্ত্রী বৈঠকে সচিবদের দেশের সব ক্লিনিক ও হাসপাতালে সাধারণ মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি, কোনো ক্লিনিক ও হাসপাতাল অনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ড হলে তা দ্রুততার সঙ্গে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এমআইএইচ/এএ