মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সিওমেক’র ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রোগীদের সেবায় একটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দেন। এ নিয়ে চারটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন পেলো সিওমেক হাসপাতাল।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকেলে সিওমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমানের কাছে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাটি (এইচএনএফসি মেশিন) হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান বলেন, মেশিনটি আইসিইউতে চিকিৎসাগ্রহণকারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অত্যন্ত কাজে লাগবে। যা দিয়ে রোগীদের প্রয়োজন মাফিক উচ্চচাপে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে।
তিনি সিলেটবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়ে বলেন, সিলেটবাসীর কল্যাণে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি, পরিকল্পনা ও চেষ্টা অব্যাহত আছে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, এরআগে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স থেকে একটি, সমাজ কল্যাণ সচিব দু’টি ও মঙ্গলবার ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা একটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন দিলেন।
এদিন ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন হস্তান্তর করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক (ইপিআই) ডা. সফিকুর রহমান ও সিলেট বিভাগের সাবেক পরিচালক (স্বাস্থ্য) সিলেট ডা. বনদীপ লাল দাস।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. আদনান চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানেলা মেশিন দিয়ে করোনা রোগীদের প্রয়োজন মাফিক উচ্চ চাপে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। রোগীর প্রয়োজনে সর্বোচ্চ মিনিটে ৭০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। যা ভেন্টিলেশনের চেয়েও বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এনইউ/আরআইএস