ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বেশিরভাগ মানুষই এখন জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন। তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে একটু অসতর্ক হলেই ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটনা।
এ বিষয়ে বুধবার (২২ জুলাই) বিকেলে বাংলানিউজকে সঙ্গে কথা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বেশিরভাগ মানুষই এখন জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার এখন মানুষের পকেট পকেট থাকে। কিন্তু জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল থাকে। এগুলো হচ্ছে দাহ পদার্থ, আগুনের সংস্পর্শে এলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পরামর্শ মোতাবেক সাবধানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ব্যবহার করতে হবে।
এসময় তিনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারকারীদের সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
একই কথা বলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার আগুনের সংস্পর্শে এলে আর রক্ষা নেই। ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই সতর্কভাবে এগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দিনগত রাতে রাজধানীর হাতিরপুলের একটি বাসায় জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চিকিৎসক দম্পতি ডা. রাজিব ভট্টাচার্য (৩৬) ও তার স্ত্রী ডা. অনূসূয়া ভট্টাচার্য (৩২) দগ্ধ হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে রাজিবের শরীরের ৮৭ শতাংশ ও তার স্ত্রীর ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। রাজিবকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। স্ত্রীর অবস্থাও গুরুতর।
** হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে আগুন, চিকিৎসক দম্পতি দগ্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
এজেডএস/ওএইচ/