বরিশাল: মৃত চিকিৎসকের সই ব্যবহার করে প্যাথলজি রিপোর্ট দেওয়ায় বরিশালে ‘দি সেন্ট্রাল মেডিক্যাল সার্ভিসেস’ নামে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই মালিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি নামের শেষে ভুয়া পদবি ব্যবহার করায় এক চিকিৎসককে ছয় মাসের দণ্ড ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেসের চিকিৎসক নূরে সরোয়ার সৈকত, প্রতিষ্ঠানটির মালিক এ কে চৌধুরী ও জসীম উদ্দিন মিলন।
বুধবার (২২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যার অফিসার ডা. মুবিনুল হক মুবিন বাংলানিউজকে জানান, প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর জর্ডন রোড এলাকায় অবস্থিত সেন্ট্রাল মেডিক্যাল সার্ভিসেসে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দেখা যায়, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খাদিজা নামের এক রোগীকে মৃত চিকিৎসক গাজী আমানুল্লাহ খানের বুধবার স্বাক্ষরিত একটি প্যাথলজি রিপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু ওই চিকিৎসক গত ১৯ জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন এবং তিনি তিন মাস ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এছাড়া প্যাথলজির সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রতি করোনায় মৃত্যুবরণ করা একজন চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করা হচ্ছিলো।
একই সঙ্গে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নূরে সরোয়ার সৈকত নামে একজন চিকিৎসক পাওয়া যায়। যিনি রোগীকে দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে নামের শেষে বেশকিছু ভুয়া ডিগ্রি উল্লেখ করেন এবং বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের (শেবাচিম) নাম ব্যবহার করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এ কে চৌধুরী, জসীম উদ্দিন মিলন এবং ভুয়া ডিগ্রিধারী চিকিৎসক নূরে সরোয়ার সৈকতকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
এমএস/ওএইচ/