মাদারীপুর: করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ জুলাই মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হন উপজেলার রাজারচর ও চরকাঁচিকাটা এলাকার দুই যুবক।
আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয়বার নমুনা দেওয়ার পর গত ২৫ জুলাই তাদের দুইজনকে আইসোলেশন থেকে রিলিজ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৩ তারিখে করোনায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলার বহেরাতলা ইউনিয়নের আবুল কাশেম উকিল মা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নির্মিত করোনা আইসোলেশন সেন্টারে উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচরের এমারত হোসেন ও উমেদপুর ইউনিয়নের চরকাঁচিকাটা এলাকার এমারত হোসেন ভর্তি হন। এরপর ২৫ তারিখে রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে করোনা নেগেটিভ লিখে সঙ্গে জিংক ও সিভিট এক মাস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ওই দিন দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেন। খুশি মনে বাড়ি ফিরে এসে স্বাভাবিক কাজকর্মে মনোযোগ দেন ওই দুই যুবক। স্বাভাবিকভাবে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের সঙ্গেও সময় কাটান। কিন্তু এর দু’দিন পর ২৭ তারিখে করোনা টেস্টের রেজাল্ট এলে রিলিজ পাওয়া ওই দুই ব্যক্তির একজনের করোনা পজিটিভ আসে।
এ বিষয়ে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসা ব্যক্তি বলেন, ২৫ তারিখে করোনা নেগেটিভ লিখে আমাদের দু’জনকে ছাড়পত্র দেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। কিন্তু দু’দিন পরে শুনি রিপোর্ট এসেছে। তাতে আমার সঙ্গের ব্যক্তির করোনা পজিটিভ রয়েছে। সেদিন আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসক ডা. ইফ্ফাত আফরিন ও ডা. হিল্লোল দায়িত্বে ছিলেন বলেও তিনি জানান।
পরে করোনা পজিটিভ আসা ব্যক্তি বলেন, ১৩ জুলাই করোনা পজিটিভ নিয়ে আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হই। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার নমুনা দেওয়া হলে ২৫ তারিখ আমার করোনা নেগেটিভ জানিয়ে আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসক। পরে ২৭ তারিখ হাসপাতাল থেকে কেউ ফোন দিয়ে বলেন, ‘আপনার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। '
তিনি আরো বলেন, এ রকম কেন হলো বুঝলাম না। তবে হাসপাতাল থেকে ফোন পাবার পর বাড়িতেই সবার থেকে আলাদা থাকছি। এখন শারীরিকভাবে সুস্থই আছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেদিন আইসোলেশন সেন্টারে দায়িত্বে থাকা ডা. হিল্লোল বলেন, হাসপাতাল থেকে ফোনে জানানো হলে আমরা ব্যবস্থাপত্র দিয়ে দু’জনকে ছাড়পত্র দেই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আসলে রেজাল্ট দেখার সুযোগ হয় না। হাসপাতাল থেকেই ফোনে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এমনটা তো হবার কথা নয়। বিষয়টি দেখছি যোগাযোগ করে। আপনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
দায়িত্বরত অপর চিকিৎসক ডা. ইফ্ফাত আফরিন বলেন, হাসপাতাল থেকে ফোনে নেগেটিভ রিপোর্ট জানানোর পরে আমরা তাদের ছাড়পত্র দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমাদের কোঅর্ডিনেটর রয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখি কি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
এসআই