ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের চিকিৎসায় স্টেমসেল থেরাপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২০
মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের চিকিৎসায় স্টেমসেল থেরাপি

ঢাকা: কমপ্লিট স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির রোগীদের চিকিৎসা সেবায় আশার আলো দেখাচ্ছে স্টেমসেল থেরাপি। স্টেমসেল থেরাপি প্রয়োগ করে ৩২ জন রোগীর মধ্যে ৩১ জনেরই উন্নতি হয়েছে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (৭ সেপ্টম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি দিবস (আন্তর্জাতিক মেরুদণ্ডে আঘাপ্রাপ্ত দিবস) উপলক্ষে ‘ম্যানেজমেন্ট অফ স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি এন্ড স্কোপ অফ স্টেমসেল থেরাপি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তরা এ তথ্য জানান।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। সভাপতিত্ব করেন নিউরো সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এটিএম মোশারেফ হোসেন। সেমিনারে গবেষণালব্ধ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুকৃতি দাস।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় মেরুরজ্জুর সামান্য আঘাতও বড় বিপর্যয় ডেকে আনে। একজন মানুষ অচল হয়ে যায়, প্রতিবন্ধী হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা হারিয়ে সমাজ ও পরিবারের  বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সড়ক দুর্ঘটনা, অল্প পানিতে ঝাঁপ দেওয়াসহ যেসকল কারণে মানুষ স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির শিকার হয়ে থাকে সে বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির ক্ষেত্রে প্রতিরোধই প্রতিকার ও মুক্তির সর্বোত্তম পদ্ধতি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুকৃতি দাস জানান, স্পাইনাল কর্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে যেসব রোগীরা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে যায় সেকল রোগীদের চিকিৎসাসেবায় স্টেমসেল থেরাপি একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি। এই চিকিৎসাসেবা ব্যয়বহুল নয় এবং সাধারণ ব্যবস্থাতেই এটা চালু করা সম্ভব। বাংলাদেশে সকল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সম্ভাব্য সকল মেডিক্যাল শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে এটা চালু করা সম্ভব হলে অনেক দরিদ্র রোগীসহ কর্মক্ষম মানুষের সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

তিনি জানান, একটি প্রকল্পের আওতায় তিনি কমপ্লিট স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির শিকার ৩২ জন রোগীকে স্টেমসেল থেরাপি প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছেন। ৩১ জন রোগীরই কমবেশি উন্নতি হয়েছে। যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবশ্যই বড় ধরনের একটি সাফল্য।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০
পিএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।