ঢাকা: করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট প্রাদুর্ভাব ও সংকটের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৭০০ শয্যাবিশিষ্ট দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ২য় তলা বেজমেন্টসহ ১১তলা ভবনের ১১তলা পর্যন্ত ছাদের কাজ ৫০ শতাংশসহ ছাদের ফ্লোর নির্মাণ কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
তিনি জানান, ভবনে ইটের কাজ (ব্রিক ওয়ার্ক) ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্লাস্টার কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৪৫ শতাংশ। ফিনিশিং ওয়ার্ক, বেস প্যানেল, টেরাকোটা প্যানেল, এলমোনিয়াম লুবার, এলমোনিয়াম শীটসহ অন্যান্য কাজ এগিয়ে চলছে।
বিজ্ঞতিতে আরো জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে একটি রোগীবান্ধব সুবজ হাসপাতাল। হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু করার মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
এতে জানানো হয়, বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাসহ জনসাধারণ এখানে সাশ্রয়ীমূল্যে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা পাবেন। এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বিশেষ করে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি উন্নত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের দিগন্ত প্রসারিত হবে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির মাধ্যমে বিদেশ নয়, দেশেই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হবে। চিকিৎসাসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার সংবিধানের এই স্বীকৃত বাণী বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিক অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে উপাচার্যকে অবহিত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ- প্রকল্প পরিচালক সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নূর ই এলাহী, পরামর্শক দাতা প্রতিষ্ঠান সানজিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অর্কিটেক্ট এর প্রধান কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার মি. জাংগ হোবিন, ডেপুটি কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার জনাব শ্রীকান্ত রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
পিএস/আরএ