ঢাকা: রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ও ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশানস (ডিএইচ) যৌথভাবে প্রসারিত করছে কোভিড-১৯ হটলাইন সেবা। ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশানসের সহযোগিতায় আইইডিসিআর কোভিড-১৯ হটলাইন নম্বরটির মাধ্যমে আরও দৃঢ় হলো বাংলাদেশ সরকারের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধের কার্যক্রম।
সারা দেশব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির সঙ্গে মোকাবিলায় আইইডিসিআর শুরু থেকে বেশ কিছু হটলাইন নম্বর চালু করেছে যেখানে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে কল করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সেবা নিতে পারবেন সাধারণ জনগণ। কোভিড-১৯ নিয়ে আতঙ্ক এড়াতে হটলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সাধারণ তথ্য, টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন ও চিকিৎসা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও সহায়তা। এখন পর্যন্ত হটলাইনটি সরকারের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধের কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করেছে।
কিন্তু দিন দিন বাড়তে থাকা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণকে রোধ করতে এবং আরও বেশি মানুষকে সহযোগিতা করতে সম্প্রতি আইইডিসিআর তাদের ইমার্জেন্সি হটলাইন এর ব্যবস্থাপনায় যুক্ত করেছে ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশানসকে (ডিএইচ)। বর্তমানে, ১০৬৫৫ হটলাইন নম্বরটিতে আসা সব কল ডিএইচ এর নিজস্ব চিকিৎসকদের দিয়ে পরিচালনা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণ আরও কম সময়ে সঠিক তথ্য পর্যালোচনাপূর্বক দ্রুততম সময়ে পাচ্ছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য, পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা।
প্রসঙ্গত, আইইডিসিআর এর আগের সব নম্বর ‘১০৬৫৫’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আইইডিসিআর এর তত্ত্বাবধানে ডিএইচ তাদের নিজস্ব চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণপূর্বক হটলাইন নম্বরে কলের মাধ্যমে জনগণের জন্য কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য, যেমন তাদের অবস্থান অনুযায়ী সবচেয়ে কাছের টেস্ট সেন্টার, বুথ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে আছে বাসা থেকে টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা এবং এসএমএস ও ইমেইলের মাধ্যমে রিপোর্ট দেওয়া।
আইইডিসিআরের পরিচালক প্রফেসর ডক্টর তাহমিনা শিরিন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সঙ্গে এ লড়াইয়ে, বাংলাদেশের সরকার বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। যেন তারা দেশের জনগণকে আরও দক্ষতার সঙ্গে কার্যকরি সেবা দিতে পারে। এজন্য আমরা আইইডিসিআর এর কোভিড-১৯ হটলাইন আরও শক্তিশালী করার জন্য গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট এর ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশানস (ডিএইচ) এর সঙ্গে কাজ করছি।
ইউএসএইড মিশন পরিচালক ব্রাউন বলেন, আমি গর্ববোধ করছি ইউ এস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড), বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। কোভিড-১৯ মহামারি রোধে বাংলাদেশের সরকারের সব ধরনের কার্যক্রমেও সহযোগিতা করতে সবসময় পাশে আছে ইউএসএইড। আইইডিসিআর হটলাইন এর প্রতি আমাদের সহযোগিতা এ প্রতিশ্রুতিরই একটি অংশ এবং আমরা ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশানসকে (ডিএইচ) ধন্যবাদ জানাই আমাদের সঙ্গে কোভিড-১৯ এর লড়াইয়ে যোগ হওয়ার জন্য।
ডিএইচ এর সিইও সাজিদ রাহমান এর বিশ্বাস ডিএইচ, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে, বাংলাদেশের জনগণকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাবে। এর পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের সরকারকে যেকোন ভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এ উদ্যোগটি আইইডিসিআর, ইউএসএইড, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রেকথ্রু অ্যাকশন অ্যাকটিভিটি ও ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশানসের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
আরআইএস