ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও জনমনে আতঙ্কিত হবার কারণ নেই।
সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশে আগামী শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হতে পারে। আমরা সরকারিভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
তিনি বলেন, শীতকালে আবার দেশে করোনা বাড়তে পারে। এটি মোকাবিলা করার জন্য অবশ্যই সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া শীতকালে যেসব অনুষ্ঠান বেশি হয় সেসব অনুষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে করার অনুরোধ করেন তিনি।
দেশে করোনার ভ্যাকসিন আনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এগিয়ে চলছে। দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। করোনায় সারাবিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। ইতোমধ্যে দেশের করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে।
তিনি আরও বলেন, সন্ধানী ৪৩ বছর ধরে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সরকার সন্ধানীর সব মহৎ কাজের সঙ্গেই থাকবে। সন্ধানীর চাহিদা অনুযায়ী ব্লাড ব্যাংকসহ যেসব উপকরণ প্রয়োজন সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।
বিএসএমএমইউয়ের জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আলী নূর, বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমসহ সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি ও সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
পিএস/আরআইএস