ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে উপজেলা হাসপাতালেও যন্ত্রপাতি দিতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে উপজেলা হাসপাতালেও যন্ত্রপাতি দিতে হবে গোলটেবিল বৈঠক/ ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। যন্ত্রপাতি বরাদ্দ নিশ্চিত করতে ৩ থেকে ৫ বছরের একটি পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।

যাতে কোনো মানুষ রোগাক্রান্ত হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে। অনেক সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকায় একটি পরীক্ষার জন্যই ঢাকায় আসতে হয়।

সোমবার (২ নভেম্বর) কালের কণ্ঠ ও আইআরডি আয়োজিত কোভিড-১৯ ও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

রাজধানীর বসুন্ধরা আাবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।

এতে বক্তব্য দেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ ফয়েজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, আইআরডি বাংলাদেশের সিনিয়র টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর ডা. আবু জামিল ফয়সাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিবি লেপ্রসি অ্যান্ড এএসপির লাইন ডিরেক্টর ও এমবিডিসি পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আমিনুল ইসলাম মিয়া, ব্র্যাকের পরিচালক ড. মো. আকরামুল হক, আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম আলমগীর, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টাস ফোরামের নির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম হাসিব, এনটিপি উপদেষ্টা ডা. এমএ হামিদ সেলিম ও এনটিপি প্রোগ্রামের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ডা. রূপালী শিশির বানু প্রমুখ।

গোলটেবিল বৈঠকে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. নাজিস আরেফিন নাকি।

স্বাগত বক্তব্যে কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, কালের কণ্ঠ শুরু থেকে সামাজিক নানা বিষয়ে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে থাকে। আমাদের পত্রিকার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনদের বক্তব্য এমন ভাবে তুলে ধরি যাতে সেটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে যায় এবং তারা যেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংদীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, অধিকাংশ সময় অযথা পরীক্ষায় মিথ্যা রিপার্ট আসছে। আমার মনে হয় এ কারণেই আমরা টিবিকে হিডেন কেস অথবা মিস কেস বলি। এখন অ্যানালাইসিস করে যেটা দেখতে পাচ্ছি টিবির সব রোগীর পরীক্ষা করাতে পারছি। এটা একটা বিশাল অর্জন। পাশাপাশি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন দিয়ে যদি পরীক্ষা করতে পারি। তাহলে বিশাল একটি অংশ টিবি থেকে বের হয়ে আসতে পারবো। আমি মনে ১১০টি নয়, স্বাস্থ্যখাতের বাজেট দিয়ে দেশের ৪৮৭টি উপজেলায় ডিজিটাল এক্সরে মেশিন বসানো সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে সার্জন আছে অপারেশন থিয়েটার ঠিক নাই অথবা এনেসথেসিস্ট নাই। যেখানে এনেসথেসিস্ট আছে সেখানে সার্জন নাই। আবার যেখানে গাইনোকোলজিস্ট আছে, সেখানে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নাই। তাকে সিজার করতে বলা হলে পারবে না। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। আমি সংসদীয় কমিটির মিটিংয়ে বলেছি দেশের সব উপজেলা হাসপাতালে সব ধরনের সুবিধা দিতে ৩-৫ বছরের একটি পরিকল্পনা নিতে। সব হাসপাতালে সরঞ্জাম দিতে পারলে মানুষকে কষ্ট করে ঢাকার শহরে আসার প্রয়োজন হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এসই/এইচএডি/
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।