খুলনা: প্রান্তিক জনগণের মধ্যে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় এবং সচেতনতা বাড়ানো সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামাল হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দ্বিতীয় ধাক্কা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ইতোমধ্যে মাস্ক পরিধান বাধত্যামূলক করেছে। সবার মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে সবকিছু করা সম্ভব নয়। করোনা মোকাবিলায় সবার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সামনের দিনগুলোতে করোনা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। এজন্য জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সরকারের সবকিছু একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। করোনা প্রতিরোধে সরকারি নিদের্শনা প্রতিপালনে সচিব সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পর্যায়ক্রমে খুলনার অন্যান্য উপজেলাতেও অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা স্থাপন করা হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুনসুর আলী খান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হক নিজামী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় জনগণ ও ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ২০ বেডের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
পরে তিনি দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য গৃহ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এতে ৬৫টি পরিবার বসবাস করতে পারবে এবং প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হবে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। ডিসেম্বরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২০
এমআরএম/আরআইএস