ঢাকা: রাজধানীর ফকিরাপুলের বই বাঁধাই কারখানা থেকে উদ্ধার শিশু শুভর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের সময় পায়ুপথে কিছুটা সমস্যা দেখা গেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস এসব তথ্য জানান।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নিহত শুভর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, শিশুর শরীরে কেনো আঘাত পাইনি। গলায়ও কোনো আঘাত নেই। তবে তার পায়ুপথে কিছুটা সমস্যা দেখতে পেয়েছি। মরদেহ থেকে ভিসেরা ও হার্ট-ফুসফুসসহ পায়খানার রাস্তা থেকে সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এদিকে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেছে শুভর পরিবার। পক্ষ থেকে। শিশুর পরিবারের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কারখানার ভেতরে শুভকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।
মতিঝিল থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) সৈয়দ আলী জানান, ঘটনার পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিউল নামের একজনকে আটক করা হয়। এরপর গতকাল রাতে শিশুটির বাবা আলাউদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় রবিউলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এখন সে থানায় আছে।
নিহত শুভর মা লাকি জানান, কয়েকদিন আগে একই কারখানার কর্মচারী শিশু শুভর বড় ভাই শাওনের সঙ্গে রবিউলের মেয়েলি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এরপর কারখানার মালিক রবিউলকে কারখানা থেকে বের করে দেয়। সেই ক্ষোভেই রবিউল শুভকে হত্যা করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এজেডএস/এইচএডি