ঢাকা: করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনা পেলেই ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ডিজি হেলথতে মিটিং আছে। সেখানেই নির্দেশনা পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে এ বিষয়ে কথা হয় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে বুধবার সকালে ডিজি হেলথের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখান থেকেই নির্দেশনা আসবে কীভাবে কী করণীয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি নিয়ম মেনে করোনার ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হবে। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি। সকালে মিটিংয়ে নির্দেশনা পেলেই করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে কাজ শুরু করে দেব।
প্রসঙ্গ, ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন আগে এলে আগেই বিতরণ শুরু হবে। প্রথমে সীমিত আকারে ঢাকায় ভ্যাকসিনদান কর্মসূচি শুরু হবে। পরবর্তীকালে সারা দেশে জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ কথা জানান তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পর্যায়ে চারটি টিম কাজ করবে। উপজেলা পর্যায়ে দটি টিম কাজ করবে।
মেডিক্যাল কলেজের ছয়টি টিম কাজ করবে। আমাদের যে সব ইনস্টিটিউট আছে সেখানেও টিম পাঠানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনগুলোকে ধরে প্রতিদিন দুই লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।
ভ্যাকসিন সংরক্ষণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে। প্রথমে ২০ লাখ আসছে। পরবর্তীতে আরও ৫০ লাখ আসবে। ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইন, জনবল, ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, বুধবার দেশে ২০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে। অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রোজেনেকার এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেবে ভারত সরকার। তবে কখন আসছে সেটার ফ্লাইট সিডিউল আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। কখন আসবে তা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন ভারত সরকার নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশে পৌঁছে দেবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন, তাদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এখানে ভিভিআইপি কিংবা ভিআইপি ব্যবস্থা থাকবে না। তবে সরকারিভাবে গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে, সেই গাইডলাইন অনুসারে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল আসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
এজেডএস/এসআরএস