ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মৌলভীবাজারে করোনার প্রথম টিকা নেবেন এমপি নেছার

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১
মৌলভীবাজারে করোনার প্রথম টিকা নেবেন এমপি নেছার মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের প্রথম করোনার টিকা নেবেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নেছার আহমদ।

আগামী রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে একযোগে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে।

প্রথমে টিকা নেওয়ার বিষয়টি শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি নেছার আহমদ।

এদিন প্রথম দিকে টিকা নেবেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন ও প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফ্রন্টলাইনের ১৫টি ক্যাটগরির ব্যক্তিরা।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি ৬ হাজার ভায়ালে ৩০ হাজার মানুষের জন্য ৬০ হাজার ডোজ করোনার টিকা পৌঁছে। টিকা পেতে হলে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে। জেলার ৭টি উপজেলায় টিকা প্রয়োগের সব ধরনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণও শেষ হয়েছে। মৌলভীবাজার-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ৮টি বুথ এবং অন্য ৬ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৩টি করে বুথে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি বুথে দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।

জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে জেলার ৭টি উপজেলায় করোনার টিকা বরাদ্দ হয়েছে কুলাউড়ায় ৫ হাজার ৫শ ডোজ, রাজনগর ৩ হাজার ৫শ, জুড়ী ২ হাজার ৫শ, বড়লেখা ৪ হাজার, কমলগঞ্জ ৪ হাজার, শ্রীমঙ্গল ৫ হাজার, মৌলভীবাজার সদর ৫ হাজার ৫শ ডোজ। মোট এডি সিরিঞ্জ ৬৪ হাজার ৮শটি। প্রথম ধাপে জেলায় টিকা দেওয়া হবে চিকিৎসাকর্মী, পুলিশ, বিজিবি, সংবাদকর্মী, আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ব্যাংক, বিমা প্রশাসনের মাঠকর্মীসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সম্মুখযোদ্ধাদের।

সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, টিকা পেতে হলে সবাইকে ‘সুরক্ষা অ্যাপে’র মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। আর মৌলভীবাজারে করোনার প্রথম টিকা নেবেন সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।

সিভিল সার্জন আরও জানান, এই টিকা দেওয়ার ফলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা মোকবিলায় সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম সফল করতে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চান। করোনা টিকা দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, করোনা টিকা প্রদান সম্পাদন কার্যক্রমে জেলা পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সবার সঙ্গে জেলা পুলিশের সদস্যরা প্রথম পর্যায়ে টিকা নেবেন। করোনা প্রতিরোধমূলক এ টিকা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এমন গুজব বা মিথ্যা অপপ্রচাররোধে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, ইতোমধ্যেই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সিভিল সার্জন কার্যালয়, পুলিশ সুপার কার্যালয়, প্রতিটি উপজেলা কার্যালয় এবং তথ্য কেন্দ্রগুলোতে রেজিস্ট্রেশন বুথ খোলা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ১৫ ক্যাটাগরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

তিনি আরও জানান, একযোগে রোববার থেকে করোনা টিকার ১ম ডোজ দেওয়া শুরু হবে। এর চার সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ দিন পর ২য় ডোজ দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২১
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।