ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বাড়ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষের। টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে সচিবালয় ক্লিনিকে ভবনে ২৫৭ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী টিকা নিয়েছেন।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয় ক্লিনিকের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী এ তথ্য জানান।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশের এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ‘কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন টিকা নেওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ৯০ জন। সোমবার মোট ২৫৭ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ এবং ৩৮ জন ছিলেন নারী। প্রথম দিন টিকা নেওয়া ১৬৭ জনের মধ্যে ১৪৯ জন পুরুষ ও ১৮ জন ছিলেন নারী। রোববারের তুলনায় সোমবার টিকা নিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগ্রহ বাড়ছে। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্লিনিকে এসে খোঁজ নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চালিয়েছি। ’
সচিবালয় ক্লিনিকে মোট ১২ দিন এ কার্যক্রম চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্লিনিকে বর্তমানে ৩০০ জনকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে তেমন কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। প্রথম দিন একজন এবং সোমবার দুইজনের টিকা দেওয়ার স্থানে কিছুটা ফুলে গিয়েছিল। এটি তেমন কোনো সমস্যা নয়। এছাড়া, এ ক্লিনিক থেকে যারা টিকা নিয়েছেন, পরবর্তীকালে তাদের কোনো সমস্যার বিষয়ে তথ্য আসেনি। ’
সোমবার দুপুরে সচিবালয় ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, উৎসাহের সঙ্গে টিকা নিচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টিকা নিতে যারা নিবন্ধন করেছেন, তারা নিবন্ধনের কাগজ নিয়ে টিকা নিতে আসছেন। নিবন্ধনের কাগজ যাচাই করে দু’টি বুথ থেকে তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা নেওয়ার পর ১০ থেকে ২০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে ফের কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন তারা।
এর মধ্যে দুপুরে টিকা নেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব নাজমা মোবারক, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সেলিম আবেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সোনিয়া মুন্নি। তথ্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী সজল আফজালসহ ২৫৭ জন।
তারা জানান, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা হয়নি তাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। সেদিনই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে নিবন্ধন শুরু হয়।
তবে প্রাথমিকভাবে সেখানে ১৯টি শ্রেণিতে নিবন্ধন করার সুযোগ রাখা হয়। এর মধ্যে একটি শ্রেণি ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের জন্য। বাকিগুলো সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
জিসিজি/এফএম