ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

টিকা নিলেন আরো ৭৮৩৩০ জন, কমছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
টিকা নিলেন আরো ৭৮৩৩০ জন, কমছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ঢাকা: সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন ৭৮ হাজার ৩৩০ জন। এদের মধ্যে মাত্র তিনজনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন: জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে।

আর এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ২৩২ জন। এদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৯২০ জনের। পাশাপাশি টিকার জন্য মোট নিবন্ধন করেছে ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৭ জন।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। তবে প্রথমদিকের তুলনায় টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমছে। আগে প্রতিদিন সংখ্যাটি ১৫, ২০ বা ৩০ এর বেশি থাকলেও সেটি বর্তমানে ১০ নিচেই থাকছে।

বিজ্ঞতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন ৭৮ হাজার ৬২৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪৩ হাজার ৯৯৫ জন এবং নারী ৩৪ হাজার ৩৩৫ জন।

টিকা নেওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ হাজার ৯২১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ হাজার ৬০৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ হাজার ৩১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১১ হাজার ৩৩ জন, রংপুর বিভাগে ১১ হাজার ৮৫৮ ঐজন, খুলনা বিভাগে ৬ হাজার ৪৫৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৪ হাজার ১১৭ জন ও সিলেট বিভাগে ২ হাজার ২৩ জন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করছে অর্থাৎ মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে। এছাড়াও ভ্যাকসিন বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টিম প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
পিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।