ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রাশিয়া থেকে ১ কোটি টিকা আনার পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২১
রাশিয়া থেকে ১ কোটি টিকা আনার পরামর্শ

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের বাইরে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি আনতে যাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি সামগ্রিক যাচাই-বাছাই শেষে দেশে স্পুটনিক-ভি প্রয়োগে অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে ২০ লাখ করে ৫ মাসে মোট ১ কোটি ভ্যাকসিন আনার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠির ভিত্তিতে রাশিয়া স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন কেনার জন্য প্রস্তাবিত সরবরাহ চুক্তির বিষয়ে গত ৭ মে অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগের মতামত চায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৯ মে) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে চিঠি দিয়ে মতামত জানায় অর্থ বিভাগ।

সেই চিঠির ভিত্তিতে মতামত জানিয়েছে অর্থ বিভাগ। সেখানে রাশিয়ার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে চুক্তি হলে প্রতিমাসে ২ মিলিয়ন (২০ লাখ) টিকা আনার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন কেনার ক্ষেত্রে আপাতত ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করার বিষয়ে মতামত দেয়। তবে ১০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহের পর এ ভ্যাকসিনের ডোজের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে বলেও মতামতে উল্লেখ করা হয়। যা এরই মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে পৌঁছেছে।

অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ স্বাক্ষরিত মতামত সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত সাপ্লাই এগ্রিমেন্ট গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (জিটুজি) হিসেবে হবে না, এটি বিজনেজ টু গভর্নমেন্ট (বিটুজি) পদ্ধতিতে করা সমীচীন হবে। ভ্যাকসিন কেনা বাবদ অর্থের মধ্যে অগ্রিম ৫০ শতাংশ ও বাকি ৫০ শতাংশ অর্থ ভ্যাকসিন বুঝে পাওয়ার পর এলসির মাধ্যমে পরিশোধ করা যেতে পারে। যেহেতু সরকার এ ভ্যাকসিন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে না, তাই ক্লজ ৪ দশমিক ১ এ বর্ণিত শূন্য দশমিক ১ শতাংশ রয়ালটি পরিশোধের বিষয়টি বাদ দেওয়া যেতে পারে। তবে ভ্যাকসিনের মূল্য (ক্লজ ২ দশমিক ৬ এ উল্লিখিত) কত হবে তা স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি নেগোশিয়েশনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে পারে।

অর্থবিভাগের মতামতে আরও বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত সরবরাহ চুক্তিটি গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়। এ চুক্তিটি বিজনেজ টু গভর্নমেন্ট পদ্ধতিতে সম্পাদন করা সমীচীন হবে। প্রস্তাবিত চুক্তির ক্লজ ২ দশমিক ২ এ বর্ণিত প্লেস অর ডিসপেথ- হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা হওয়া সমীচীন হবে। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের মূল্য, পরিবহন ব্যয়, বিমা খরচ ও স্থানীয় শুল্ক করাদি বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।

এর আগে গত ২৮ এপ্রিল রাশিয়ার ‘স্পুটনিক-ভি’ ও চীনের ‘সাইনোফার্ম’ থেকে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের জন্য অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এদিকে রাশিয়ার করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি কেনার বিষয়ে ২৯টি সুপারিশসহ চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এসব শর্ত অনুযায়ী, রাশিয়া টিকা দিতে না পারলে অর্থ ফেরত দেবে। সেইসঙ্গে কোনো জটিলতা হলে দায় হবে দেশটির সরকারের। এছাড়া টিকা নেওয়ার পর কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের দায়মুক্তির ধারা পর্যালোচনারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে খসড়াটিতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এমন মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২১
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।