ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ দফা ‘বিশেষ লকডাউনে’ও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমূখী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ দফা ‘বিশেষ লকডাউনে’ও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমূখী ...

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কঠোর ‘লকডাউনে’র আজ ১২তম দিন এবং দ্বিতীয় দফা সাতদিন লকডাউনের পঞ্চম দিন শনিবার।  

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০৭ জন।

যা শতকরা প্রায় ৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় দফা লকডাউন চলাকালেও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমূখী রয়েছে। জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। প্রথম দফা ‘লকডাউনে’ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৩৪ শতাংশে নেমে এসেছিলো।  

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সংক্রমণের হার ছিলো প্রায় ৪৩ শতাংশ। শুক্রবার (৪ জুন) সংক্রমণের হার ছিলো প্রায় ৪২ শতাংশ এবং শনিবার (৫ জুন) সংক্রমণের হার প্রায় ৫৫ শতাংশ। কঠোর ‘লাকডাউন’ চলাকালে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমূখী হওয়ায় আতঙ্কিত সচেতন মহল।  

এদিকে ভারত ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেলটা’ ভাইরাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোগী শনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ স্বাস্থ্য বিভাগের।

প্রথম দফা ‘লকডাউনে’ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় জেলায় সংক্রমণের হার নিম্নমূখী ছিলো। জেলায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে ‘লকডাউন’। তবে মফস্বলে মানুষ সঠিকভাবে মানছে না ‘লকডাউন’ বা সরকারি নির্দেশনা। মফস্বলে কঠোরভাবে ‘লকডাউন’ কার্যকরে মাঠে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। ‘লকডাউন’ কার্যকরে মাঠে রয়েছে জনপ্রতিনিধি ও গ্রামপুলিশও। জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। ‘লকডাউনে’ দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস ও ট্রেনসহ যানবাহন বন্ধ রয়েছে। মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। আম বাজারজাতকরণ ও রপ্তানি কার্যক্রম ‘লকডাউনে’র আওতামুক্ত রেখে যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে।

সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী শনিবার সকালে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বর্তমানে করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে ১১৮১ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২৩৪৭ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনায় মারা গেছে মোট ৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯৪টি, এর মধ্যে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০৭ জন। যা শতকরা প্রায় ৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় দফা ‘লকডাউন’ চলাকালেও করোনা সংক্রমণ কিছুটা ঊর্ধ্বমূখী। ভারত থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে মোট ৯৪ জন। এর মধ্যে ২৪ জনকে কোয়ারেন্টিন থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে।  
জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১২৯ জন রোগী। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ জানান সিভিল সার্জন।

জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মঞ্জুরুল হাফিজ গত ৩১মে দুপুরে এক প্রেসব্রিফিং এ আরও সাত দিন, ৩১ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ২য় দফা ‘লকডাউন’ বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।