ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রাজশাহীতে করোনায় আরও ১২ জনের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২১
রাজশাহীতে করোনায় আরও ১২ জনের মৃত্যু

রাজশাহী: রাজশাহীতে এক দিনের ব্যবধানে আবারও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এরমধ্যে ছয়জন করোনা পজিটিভ ছিল। বাকি পাঁচজন করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  

এছাড়া মৃতদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক রোগীর নমুনায় করোনা নেগেটিভ এলেও তার মৃত্যু হয়েছে। সবার মরদেহই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’জন,  নাটোরের দু’জন ও নওগাঁর দু’জন রয়েছেন।

এ নিয়ে চলতি মাসের গত ১৭ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১৮ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ১৮৩ জন।

ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। আর শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৪৯ জন। অথচ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরও রয়েছে ৩০৯টি। বর্তমানে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তরুণদের মৃত্যুর হারও। আর যারাই হাসপাতালে আসছেন প্রত্যেকেরই অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ এর নিচে থাকছে। আর দ্রুতই সবাই আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ছেন। তাই সবারই অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে। যোগ করেন- রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক।

এদিকে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, করোনায় আক্রান্তদের হার বাড়ায় মৃত্যুর হারও কমছে না। গতবারের তুলনায় এবার করোনার ধরন অনেকটাই আলাদা। এখন হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশই গ্রামাঞ্চলের। গ্রামের মানুষ বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মাস্ক না পড়া ও অবাধে সব জায়গায় চলাফেরার ফলে এ সংক্রমণের হার বেড়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীরা অনেক দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। আক্রান্ত হওয়ার একপর্যায়ে যখন দেখতে পাচ্ছেন আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না তখন হাসপাতালে আসছেন। রোগীরা দেরি করে ফেলায় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে চিকিৎসা দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠবে। তখন সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক।

এদিকে করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে 'বিশেষ লকডাউন'র মেয়াদ শুক্রবার থেকে আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ আগামী ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১৬ জুন রাতে রাজশাহী সার্কিট হাউসে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এ 'বিশেষ লকডাউন'র মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২১
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।