ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা নিয়ন্ত্রণে বলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
করোনা নিয়ন্ত্রণে বলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে

ঢাকা: দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ আছে বলেই স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেস্থেশিওলজি) পদে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের যোগদান এবং ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, যা এখন সারা বিশ্বে প্রসংশিত। করোনা নিয়ন্ত্রণ কোনো ম্যাজিকের মাধ্যমে সম্ভব হয়নি। এটা কাজের ফল, প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত দিকনির্দেশনা এবং চিকিৎসক, নার্স ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ আজ ভালো আছে। দেশে করোনা সংক্রমণের হার ৭. ০৩ শতাংশ। তবে এটা যে কোনো সময় বাড়তে পারে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হবে, সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো আছে। ৬ শতাংশ গ্রোথ রেট আছে। খাদ্যের অভাব হচ্ছে না। বিদেশে লোক যাওয়া-আসা করছে। ব্যাপক বা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আমরা পাচ্ছি। সংক্রমণের হার কমছে। ফলে স্কুল-কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।

দেশে অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট সংকট রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যানেস্থেশিওলজির নতুন নিয়োগটি দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আরো অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট প্রয়োজন রয়েছে। আগামীতেও অ্যানেস্থেশিওলজিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাহলে এই সংকট আর থাকবে না। পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হবে।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যানেস্থেশিওলজিস্টদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের যাকে যেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখানে গুরুত্বসহকারে দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশের সব জেলা সমান গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো সমস্যা থাকে আমরা আছি। আপনাদের সব ধরনের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে।

ডাক্তার, নার্সদের নিরাপত্তা বিষয় জাহিদ মালেক বলেন, অবশ্যই সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা অনেক স্থানে হতে পারে। সেটা কোনো উদাহরণ হতে পারে না। তবে আমরা যে বিষয়ে কাজ করি সেটা খুবই সেনসেটিভ।

তিনি বলেন, দেশে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি, যেটা ভারতে ঘটেছে। সেখানে গাড়িতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা করোনা ভ্যাকসিনেশনেও ভালো করছি। এ বছরে আরো অনেক ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন। এ মাসে দেড় কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। আমাদের সমালোচনা থাকবে। সমালোচনাকে তোয়াক্কা করিনি। সমালোচনার ফলে আমাদের গতি অনেক বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ বলেন, ৪০৯ জন নতুন অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন নিয়োগ বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ইতোমধ্যে আমার কাছে অনেক টেলিফোন এসেছে নিজেদের পছন্দমতো হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়ার জন্য। আমি তাদের বলতে চাই, অধিদপ্তর থেকে যাদের যে হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হবে সেখানেই কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরফুউদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব এম এ আজিজসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।