ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আজকালের মধ্যে আরটি-পিসিআর সমস্যার সমাধান 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
আজকালের মধ্যে আরটি-পিসিআর সমস্যার সমাধান 

ঢাকা: সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী পাঠাতে আরটি-পিসিআর ইস্যুতে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা আজকালের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া।  

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, বিমানবন্দরে কিছুদিন আগেই আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে, স্যাম্পল কালেকশন বুথ চালু করা হয়েছে। আমিরাত থেকে অনুমোদন না আসায়, জটিলতা বাড়ছে। ছয়টি ল্যাবের একটিকে আরব আমিরাত গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ চায়, সবক’টি অনুমোদন পাক। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় এক যোগে কাজ করছে।

তিনি বলেন, সব গুলো ল্যাবের অনুমোদন না দিলে, যাত্রী পাঠানো হবে না। তারা, যাচাই-বাছাই করেছে, আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে অনুমোদনের আশ্বাস মিলবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, শ্রমিক ভাইয়েরা যেন দ্রুত ওই দেশে যেতে পারে। ওদেরও রিকয়্যারম্যান্ট আছে। দুবাই এক্সপো শুরু হয়েছে, ওদের প্রচুর লোক দরকার। কিন্তু আমলান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের কাজটি ডিলে হয়ে যাচ্ছে। আশা করছি আজকালের মধ্যে সমাধান হবে।

তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত জায়গায় ল্যাব স্থাপন সম্পন্ন হয়ে গেছে। তবে আরব আমিরাতে কন্ডিশন ছিল, যেসব সংস্থাগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্ধারণ করেছে তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরে (এসওপি) আমিরাতের সম্মতি থাকতে হবে। এটি আমরা দুই সপ্তাহ আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সেখানে এটা এখনও বিবেচনায় আছে। ’ তারপর তারা অনুমোদন দেবে।  

গত পরশু দিন থেকে আমাদের ল্যাব স্থাপন হয়ে গেছে জানিয়ে মফিদুর রহমান বলেন, পাশাপাশি আমরা দুইটি টেস্ট ফ্লাইট পাঠিয়ে ছিলাম এটা তাদের রিকয়ারমেন্ট ছিল। আমাদের এখানে আরব আমিরাতের যে রাষ্ট্রদূত আছেন তিনি চিঠি দিয়েছিলেন তারা একটা টেস্ট পারপাসে কিছু যাত্রী পাঠাতে চান। এক্ষেত্রে তাদের নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান দ্বারা করতে বলেছিল। সেটা আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।

প্রশ্ন হচ্ছে কেন একজনকে অনুমোদন দিয়েছে বাকি পাঁচজনকে কেন দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলে কাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ছয় ল্যাবের এসওপি আমরা পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত অনুমোদন আসেনি। যে প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেটা কিন্তু আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ প্রথম বাংলাদেশ সার্ভে করে যাদের যোগ্য মনে করেছে তাকে দিয়েছে। কারণ তাদের ডিএনএল-২ সেফটিলেভেল-২ মেনটেন করার সক্ষমতা ছিল। বিধায় তাদের নির্বাচিত করেছিল। কিন্তু পরবর্তিতে বাংলাদেশের রিকয়ারমেন্ট অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মনে করলো এতগুলো যাত্রীর জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান এক সঙ্গে থাকা দরকার। তারা যাচাই বাছাই করে ছয়টা প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করেছে। তাদের সবার এসওপি পাঠিয়েছিলাম।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ছয়টার একটারও অনুমোদন আসেনি। কিন্তু প্রথমে যেটার অনুমোদন দিয়েছিল সেখানে ফ্লাইট টেস্ট পারপাস পাঠিয়েছি। গতকাল একটা গিয়েছে৷ আজকে একটা পাঠাতে চেয়েছিল আমি সেটা পাঠাতে দেয়নি। কারণ তাদের চাপ দেওয়ার জন্য এ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বলেছি না আমাদের ছয়টার অনুমোদন না এলে আমরা আর কোনো টেস্ট ফ্লাইট পাঠাবো না। এজন্য চাপ দিচ্ছি যাতে দ্রুত তারা অনুমোদন দিয়ে দেয়।  

একটি প্রতিষ্ঠান পারলে অন্য ছয়টি প্রতিষ্ঠান কেন পারছে না এমন প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি এমিরেটস এয়ারলাইন্সের এরিয়া ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যেভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নিয়ে টেস্ট করছে, বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোরও অনুমোদন সেভাবে নিয়ে আসবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।