ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফুটপাতে ওষুধ বিক্রি, নিষিদ্ধে আইন উঠছে মন্ত্রিসভায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
ফুটপাতে ওষুধ বিক্রি, নিষিদ্ধে আইন উঠছে মন্ত্রিসভায় ফাইল ছবি

ঢাকা: ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে ওষুধ উৎপাদন বা আমদানি করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডের বিধান যুক্ত করে ‘ঔষধ আইন-২০২১’ এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

জনসাধারণের চলাচলের পথ বা মহাসড়ক কিংবা ফুটপাতে ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধের বিধান রাখা হচ্ছে আইনের খসড়ায়।

এ সংক্রান্ত অপরাধের বিচার করতে ‘ঔষধ আদালত’ প্রতিষ্ঠা করবে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও ‘আটিয়া বন (সংরক্ষণ) আইন-২০২১' অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত লাইসেন্স ছাড়া অথবা লাইসেন্সে আরোপিত শর্ত বহির্ভূতভাবে ওষুধ মজুত, প্রদর্শন, বিক্রয়, বিতরণের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অথবা ওয়েববেইজড প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ এই বিধান লঙ্ঘণ করেন তাহলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

আইনে লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর হবে এই কর্তৃপক্ষ। প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়।

আইনে আরও বলা হয়, জনসাধারণের চলাচলের পথ, মহাসড়ক, ফুটপাত, পার্ক, কিংবা গণপরিবহণে অ্যালোপ্যাথিক, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক, বায়োকেমিক, হারবাল অথবা অন্য কোনো ওষুধ ফেরি করে বিক্রয় কিংবা বিনামূল্যে বিতরণ করা যাবে না অথবা বিক্রয় কিংবা বিনামূল্যে বিতরণ করার প্রস্তাবও করা যাবে না।

‘যদি কেউ আইনের এই বিধান লঙ্ঘন করেন তাহলে তাকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ’

যে ক্ষেত্রে কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি কোনো কোম্পানি অথবা কর্পোরেশন অথবা প্রতিষ্ঠানের মালিক, প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার এবং কর্মকর্তা যারা জ্ঞাতসারে অথবা তাদের সম্মতিতে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তারা সবাই দোষী সাব্যস্ত হবেন। তবে কোনো অভিযুক্ত যদি প্রমাণ করতে পারেন যে ওই অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে হয়েছে কিংবা তিনি অপরাধ সংঘটনে বাধা দিয়েছেন তাহলে তিনি দায়ী হবেন না।

এসব অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে ঔষধ আদালত অথবা ক্ষেত্র বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাড়া অন্য কোনো আদালত এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধের বিচার করতে পারবেন না। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার লিখিত প্রতিবেদন ছাড়া কোনো ঔষধ আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করতে পারবে না। গেজেটে দ্বারা প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ আদালত প্রতিষ্ঠা করবে সরকার।

অপরাধ তদন্তে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মতোই তার অধীন কোনো কর্মকর্তা বা পরিদর্শককে অপরাধ তদন্তের দায়িত্ব দিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮,২০২১
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।