ঢাকা: ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সকাল-দুপুর পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো এলোপাথাড়ি পার্কিং করার দৃশ্য দেখে মনে হবে যেন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল’।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালটির সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এ অসহায়ত্বের কথা জানান হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।
সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘ঢামেক হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খুব হ-য-ব-র-ল অবস্থা থাকে, মনে হয় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল। এমন অবস্থা যেন এখানেই ট্রাফিক সিগনাল, এখানেই যানজট লেগে আছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো দাঁড় করিয়ে খুলে রাখে। রোগীর গাড়ির পার্কিং করার জায়গা নেই, হাঁটার জায়গা নেই। মুমূর্ষু রোগীরাও ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারেন না। এখানে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কিছু ব্যক্তি আছে, লাঠি নিয়ে কেবল লাইন মেইনটেইন করেন। কিন্তু রোগীরা ঢামেক হাসপাতালের বাউন্ডারির ভেতরে ঢুকে অবাক হয়ে যান। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরও কোনো ধরনের পদক্ষেপ দেখিনি। আজও এ ভয়াবহ অবস্থা দেখেছি’।
ওই প্রশ্নে জবাবে ঢামেক পরিচালক নাজমুল হক বলেন, ‘এটা বাস্তব চিত্র। আমরাও অনেক সময় অসহায় হয়ে যাই। আমি যখন যাই, তখন আমার টেম্পার ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমি নিজে অ্যাম্বুলেন্সগুলোর চাকা পাংচার করেছি, লোকজন দিয়ে করিয়েছি। বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা আমরা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আসলে সাময়িক চেষ্টায় হচ্ছিল না। আমি বলব যে, যুগ যুগ ধরে এভাবে দৌরাত্ম্য চলে আসছিল’।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার কাজ চলছে উল্লেখ করে নাজমুল হক বলেন, ‘আমরা অ্যাম্বুলেন্সগুলো অ্যাপসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করব। আমরা একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমরা ১শ অ্যাম্বুলেন্স রাখার জায়গা করে দেব। আপনারা কেউ তা দেখতে পাবেন না। কোনো রোগীর অ্যাম্বুলেন্স দরকার হলে আমাদের বুথ থাকবে, সেখানে যোগাযোগ করে অ্যাপসের মাধ্যমে তা নেবে’।
আরও পড়ুন>>>
**ঢামেকে এক বছরে টিকা পেয়েছেন ৫ লাখ মানুষ
**ঢামেক হাসপাতালে হবে জরুরি কমপ্লেক্স
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
এজেডএস/এএটি