ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

গণভবন থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২২
গণভবন থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস অব বাংলাদেশের ষষ্ঠ আর্ন্তজাতিক সম্মেলন ‘প্লাস্টিকন-২০২২’ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এ সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

সম্মেলনে বার্ন ইনস্টিটিউটে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালামসহ ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জনরা।

সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরাই চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন দুর্ঘটনা, আগুনে বা জন্মলগ্ন থেকে যারা ত্রুটিপূর্ণ হয় তাদের চিকিৎসার কোনো সুযোগ ছিল না। সেসময় আমরা ঢাকা মেডিক্যালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বার্ন ইউনিট চালু করি। যাতে মানুষ চিকিৎসা পেতে পারে। ৫০ বেড থেকে সেটি পরবর্তিতে ৩০০ বেডে উন্নীত করা হয়। সেখান থেকে ৫০০ বেডের ইনস্টিটিউট করা হয়। এটি এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরবর্তিতে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করা হয়েছে। সেগুলোর বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দাহ্য পদার্থ ও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। সব ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস প্রমাণ করে তারা জনকল্যাণে রাজনীতি করে না। সেই সময় যারা আগুনে পুড়ে বেঁচে আছে তারা এখনও ভুক্তভোগী, এখনও চিকিৎসা নিচ্ছে।

সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউট গ্যাসের আগুনে পোড়া, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় দগ্ধ, এসিডে দগ্ধদের চিকিৎসায় কাজ করে। এখানে চিকিৎসার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমও চলমান। পোড়া রোগীর চাপ বাড়ায় এটি স্থাপন করা হয়েছিল। দেশের আটটি বিভাগে বার্ন ইনস্টিটিউট করার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো চালু হলে এটির ওপর চাপ কমে আসবে। দেশের সব মানুষ সহজে চিকিৎসাসেবা পাবে।

তিনি বলেন, আমাদের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ আগুনে পোড়া ও অন্যান্য ভাবে পোড়ার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

করোনা টিকার বিষয়ে উল্লেখ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে সাড়ে ২৯ কোটি টিকা এসেছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ২৩ কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছি। দেশের শতকরা ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে। ৯৭-৯৮ শতাংশ ফন্টলাইনাররা টিকা পেয়েছেন। যে কারণে করোনা মৃত্যুর সংখ্যা এখন শূন্যের কোঠায়। আক্রান্ত এক শতাংশেরও নিচে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সেবার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এখন পর্যন্ত এক লাখ রোগী এখানকার বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছে। ১০ হাজার রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে আর ইমার্জেন্সিতে সাড়ে ১৩ হাজার মানুষ সেবা নিয়েছে।

অনুষ্ঠান শেষে ইনস্টিটিউটে মুজিব কর্নার ও বঙ্গবন্ধু গ্যালারি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২২
এজেডএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।