ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢাকার যেসব এলাকা ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
ঢাকার যেসব এলাকা ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে

ঢাকা: রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৮, ৪০ ও ৪৫ নং ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) ২০ ও ৩২ নং ওয়ার্ডকে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে মহাখালীতে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ‘প্রাক মৌসুম এডিস সার্ভে-২০২২’ শীর্ষক জরিপ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে প্লাস্টিকের ড্রামে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ২০২২ সালে মৌসুমপূর্ব জরিপে লার্ভার পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে জলমগ্ন ফ্লোরে লার্ভা ছিল ২০ শতাংশ, এখন তা বেড়ে ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। প্লাস্টিকের বালতিতে এডিস মশার লার্ভা ছিল ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, চলতি বছর তা বেড়ে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। পানির ট্যাংকে ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এ বছর তা বেড়ে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

জরিপের তথ্যানুযায়ী, ডিএনসিসির ৪৫ নং ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ মশার ঘনত্ব (ব্রুটো ইনডেক্স) ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ৩৮ ও ৪০ নং ওয়ার্ডে এ ইনডেক্স ২০ শতাংশ। এসব এলাকায় পরিত্যক্ত কনটেইনারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এসব এলাকার জলমগ্ন মেঝে ও প্লাস্টিক কনটেইনারে বেশি মাত্রায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

অপরদিকে ডিএসসিসির ২০ ও ৩২ নং ওয়ার্ডে এডিস মশার ঘনত্ব ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এসব এলাকায় পরিত্যক্ত কনটেইনার, প্লাস্টিক ড্রামে এডিস মশার লার্ভা ২৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। এসব এলাকার জলমগ্ন মেঝেতে ২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

জরিপের জন্য ২১টি টিম ১০ দিনে দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডের ১১০টি সাইটে তিন হাজার ১৫০টি বাড়ি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। যার মধ্যে উত্তর সিটির ৬৩টি এবং দক্ষিণ সিটির ৯৬টি বাড়িতে এডিস মশা অতিরিক্ত মাত্রায় চিহ্নিত হয়েছে।

জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ডেঙ্গু এখনই প্রতিরোধ করতে না পারলে স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। ডেঙ্গু রোগ বৃদ্ধির বেশিরভাগ কারণ হলো মানুষের তৈরি। আমরা মনে করি, সচেতনতা আমাদের অনেকাংশেই মুক্তি দিতে পারে।

এ সময় আরও আরও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২২
আরকেআর/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।