ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ লোক থাইরয়েড হরমোনজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব থাইরয়েড দিবসের আলোচকরা।

বুধবার (২৫ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস (বিইএস) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এ কথা জানোনো হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, ভ্রূণ অবস্থা থেকে আমৃত্যু থাইরয়েড হরমোনের প্রয়োজন অপরিহার্য। এ হরমোনের তারতম্যের জন্য শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, শরীর মোটা হওয়া, নারীদের বিভিন্ন সমস্যা, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, হার্টের সমস্যা এবং চোখ ভয়ঙ্করভাবে বড় হয়ে যেতে পারে। বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ হিসেবে থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যকে দায়ী করা হয়। শারীরিক কার্যক্ষমতা সঠিক রাখার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় এ হরমোন শরীরে থাকা একান্ত জরুরি। বর্তমানে বিপুল জনগোষ্ঠী থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। এদের অর্ধেকের বেশিই জানে না যে তারা থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে।  

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে থাইরয়েড সমস্যার সব ধরনকে এক সঙ্গে হিসেব করলে তা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশর কাছাকাছি হবে। ভারতের অবস্থা অনেকটা এমনই। প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাদের প্রায় ২ শতাংশ এবং পুরুষদের প্রায় ০.২ শতাংশ হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের বৃদ্ধি জনিত সমস্যা) রোগে ভোগে। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি।

অনুষ্ঠান থেকে বলা হয়, নবজাতক শিশুদেরও থাইরয়েডের হরমোন ঘাটতি জনিত সমস্যা হতে পারে। বাড়ন্ত শিশুরাও থাইরয়েড হরমোন ঘাটতিতে ভুগতে পারে। এ সময় থাইরয়েডের হরমোন ঘাটতি হলে শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। পরবর্তী সময়ে দৈহিক বৃদ্ধির সমতা আনয়ন করা গেলেও মেধার উন্নতি করা সম্ভব হয় না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এন্ড্রোকাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এস এম আশরাফুজ্জামান।  

অনুষ্ঠানে গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড চিকিৎসার গাইডলাইন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবি এম আব্দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বিইএস প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক পাঠান, বিএসএমএমইউ’র এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমএ হাসানাত, গাইনোকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. বেগম নাসরিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
আরকেআর/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।