রাজশাহী: সারা দেশে আগামী ২৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধ টিকা কার্যক্রম। এদিন থেকে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকা দেওয়া হবে।
আপাতত সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া শুরু হবে। পরিস্থিতি বুঝে পরে তার পরিসর বাড়ানো হতে পারে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। এজন্য সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব রকমের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। সিটি করপোরেশনের আওতায় রাজশাহী মহানগরের ও সিভিল সার্জন এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে জেলার নয় উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে টিকা নিতে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই জন্ম নিবন্ধন কার্ড প্রদর্শন করে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। আর জন্ম নিবন্ধনের জন্য এখন আর আগের মতো বাবা-মায়ের নিবন্ধন কাগজের প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই যেসব শিশুদের এখনও জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি তাদের এটি করে নিতে হবে। কারণ টিকা পেতে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিক্ষার্থীকে জন্ম নিবন্ধনের ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল কপি প্রদর্শন করতে হবে। তবে কোনো শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন করতে জটিলতা থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতেও টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু টিকা সনদ নিতে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কার্ড প্রদর্শন করতে হবে।
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বাংলানিউজকে জানান, শিশুদের টিকা কার্যক্রমের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ২৫ আগস্টের আগেই কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত নির্দেশনা আসবে। এরইমধ্যে তথ্য সংগ্রহের কাজও শেষ হবে। আপাতত তাদের কাছে ১৫ হাজার টিকা রয়েছে। এর পাশাপাশি তাদের চলমান টিকা কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে। আর পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের জন্য বিশেষায়িত ফাইজারের ভ্যাকসিন মজুদ বিভাগের সংরক্ষণাগারে রয়েছে। তারা চাহিদা দিলেই তা সরবরাহ করা হবে।
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম জানান, শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। সব তথ্য চলে এলে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এরপর নির্দেশনানুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার জানান, সময় ঘনিয়ে এসেছে। কিন্তু চূড়ান্ত গাইড লাইন এখনও পৌঁছেনি। যে কোনো সময় আসবে। তবে ২৫ আগস্ট থেকে হয়তো সিটি করপোরেশন ও জেলায় এক সঙ্গে শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে না। বরাদ্দ ও নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা কার্যক্রম চলবে। চার জেলার জন্য দেড় লাখ ভ্যাকসিন মজুদ রয়েছে। এরমধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার শিশু শিক্ষার্থীরা প্রথমেই করোনা টিকার আওতায় আসবে।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে রাজশাহী বিভাগের অন্য চার জেলার টিকা ঢাকা থেকে সরাসরি সরবরাহ করা হবে। যদিও তা পরিবর্তন হতে পারে। টিকা কার্যক্রমের চূড়ান্ত নির্দেশনায় বিস্তারিত উল্লেখ থাকতে পারে বলেও জানান পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
এসএস/আরআইএস