ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো ওষুধ বাতাসে ছিটানো যাবে না।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের করোনা ডেডিকেশন হাসপাতাল (বর্তমানে ডেঙ্গু চিকিৎসা দেওয়া হয়) পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর এবং পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুর তীব্রতা বেশি, এসব দেশে আমাদের আগেই অসংখ্য লোক আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন। তাদের থেকেও আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। অর্জিত অভিজ্ঞতাগুলো প্রথম থেকেই কাজে লাগানো হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে ১৪০০ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল, ২০২১ সালে ২০ হাজারের মতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এ বছর ডেঙ্গুর মাত্রা আরও বেড়েছে। আমরা ভেবেছিলাম গতবছর থেকে এ বছরে ডেঙ্গুর তীব্রতা কমবে। দুঃখজনক হলেও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। সাধারণত সেপ্টেম্বরের পর থেকে বৃষ্টিপাত হয় না। ভারী বৃষ্টিপাত হলে ডেঙ্গুর ডিম ধুয়ে চলে যায়। এবার সেপ্টেম্বরের পরও থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে, তাই ডেঙ্গুর তীব্রতা কমেনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টা সাব জোনে ভাগ করেছি। প্রতিটা ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা নেতৃত্ব দেবেন। এসব কমিটিতে সমাজের বিভিন্ন পেশার লোকজন থাকবেন। এরপর তারা একটি অপারেটিং গ্রুপ তৈরি করে কাজ করবেন। সিটি কর্পোরেশনের যে লোক বল প্রয়োজন সেটাও মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মশা মারার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদন থাকা ওষুধ আমদানি করা হচ্ছে। এমন কোনো পোকামাকড় মারার ওষুধ বাতাসে ছিটানো যাবে না, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে মশা হয়তো মরে যাবে, কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মশা মারার যে ওষুধ অনুমোদন দেয়, সেই ওষুধগুলোই প্রথম থেকেই আমদানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২২
আরকেআর/জেডএ