নীলফামারী: নীলফামারীতে রাতে ও ভোরে শীত অনুভূত হচ্ছে। শেষ রাতে শীতের তীব্রতায় গায়ে কাঁথা বা কম্বল জড়াতে হচ্ছে।
গত ১৫ অক্টোবরের পর থেকে নীলফামারীতে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিতে শুরু করে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল বাতাস ও ঘনকুয়াশা থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। শীত বাড়তে শুরু করায় এবং হিমেল বাতাসের কারণে শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে জেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন শত শত শিশু চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে।
নীলফামারী সদর থেকে আশা এক শিশু রোগীর অভিভাবক বলেন, কয়েক দিন ধরে শীত ও বাতাস বাড়ার কারণে আমার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট ও জ্বর দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা নিতে।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের এক নার্স জানান, শীত বাড়তে শুরু করায় প্রতিদিন এখানে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেডের অভাবে তাদের হাসপাতালে রাখতে পারছি না।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবু-আল হাজ্জাজ বলেন, মূলত শিশুরা শীতের তীব্রতা ও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ইনডোরে ৬০ রোগী ভর্তি থাকছে। আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে পাঁচ শতাধিক রোগী।
জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুরে শীতের প্রকোপ বাড়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা কষ্ট পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
এমএমজেড