গত বছর আর্থিকভাবে কারো কেটেছে খুব ভালো, কারো বা কিছুটা মন্দ। গত বছর যেমনই যাক, এ বছরে পকেট কতটা ওজনদার থাকবে সেটা জানতে পারলে নিশ্চয় আগেভাগেই সেরে রাখতে পারবেন আপনার আর্থিত প্রস্তুতি।
কিন্তু জানার উপায় কী? জ্যোতিষশাস্ত্রে এই আয়-ব্যয়ের ভবিষ্যৎ জানার একাধিক উপায় আছে। তার মধ্যে থেকে একটি সহজ উপায় আপনাদের জানানো হলো।
এই সহজ গণনাটি আপনার বাড়িতে বসেই করতে পারেন। এর জন্য জ্যোতিষের কাছে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। তবে অবশ্যই আরও নিখুঁত গণনা করতে হলে কোনো জ্যোতিষশাস্ত্রের পণ্ডিত ব্যক্তির কাছেই যাওয়া উচিত।
কিন্তু যদি আপনি ঘরে বসেই নিজের নতুন বছরের আয়-ব্যয়ের সম্পর্কে আগাম একটা ধারণা পেতে চান তবে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন।
এই গণনা ঘরে বসে করতে গেলে আপনাকে জানতে হবে আপনার রাশির আয় ও ব্যয় সংখ্যাগুলি। ২০১৫ সালের মেষ রাশির আয়-ব্যয় সংখ্যা যথাক্রমে ৮ ও ৬, বৃষ রাশির ৩ ও ১৪, মিথুনের ৯ ও ১৫, কর্কটের ৩ ও ৯, সিংহের ৫ ও ৫, কন্যা রাশির ৮ ও ১২, তুলার ২ ও ১৩, বৃশ্চিকের ৭ ও ৬, ধনুর ৯ ও ১২, মকরের ১৪ ও ১১, কুম্ভের ১৩ ও ৯ এবং মীনের ৫ ও ১২।
আপনার রাশির জন্য নির্ধারিত আয়-ব্যয়ের সংখ্যা দু’টি যোগ করুন। যোগফল থেকে ১ বাদ দিয়ে তাকে ৭ দিয়ে ভাগ করুন। যে পূর্ণ সংখ্যার ভাগশেষ বেরুবে সেটাই জানাবে আপনার আয়-ব্যয়ের ভাগ্য।
বিষয়টি আরও একটু সহজ করা যাক। যদি আপনার রাশি বৃশ্চিক হয়, তাহলে আয় সংখ্যা ৭ আর ব্যয় সংখ্যা ৬। দুটোর যোগফল ১৩। এর থেকে ১ বাদ দিলে পড়ে থাকে ১২। একে ৭ দিয়ে ভাগ করলে ভাগশেষ হবে ৫। এই সংখ্যাটিই বৃশ্চিক রাশির জাতকের অর্থভাগ্য জানানোর ধ্রুবক।
এবার খুব ভালোভাবে বিশ্লেষণের বিষয়টি বুঝে নিন। তবেই আপনি সঠিকভাবে আপনার আয় ও খরচের দিকটি নির্ণয় করতে পারবেন।
এবার দেখে নিন আগামী বছরটা আর্থিকভাবে আপনার কেমন কাটবে। গোটা অঙ্কের শেষে ভাগশেষ ১ থাকলে আপনার আর্থিক ভাগ্য ভীষণ ভালো। আয় ভালোই হবে। তুলনায় ব্যয় হবে কম।
২ পরে থাকলে আয়-ব্যয় প্রায় সমান সমান হবে। কিন্তু আর্থিক অনটনে ভুগতে হবে না।
ভাগশেষ ৩ থাকলে আপনার খরচের পরিমাণ বাড়বে। আমদানির চেয়ে খরচ হবে বেশি। ফলে টান পড়তে পারে পকেটে।
পূর্ণ সংখ্যা ৪ বেরুলে নতুন বছরে নতুন আয়ের পথ খুলে যাবে আপনার সামনে। তাই সমান তালে খরচা হলেও কুলিয়ে উঠতে অসুবিধে হবে না।
সংখ্যা ৫ও ততটা ভালো নয়। আয় কমে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। অবশ্য তাল মিলিয়ে ব্যয়-সঙ্কোচনও হবে।
ভাগশেষ ৬ মানে আয়ের যোগ খুব একটা শুভ নয়। আয়ে ভাটা পড়তে পারে। ফলে খরচ কমাতে হবে।
নিয়ম মতে, বাকি রইল ৭ আর ০। দুটোর-ই ফলাফল এক। প্রচুর আয় হবে। ব্যয় হবে দেদার।
আশাকরি জ্যোতিষের এই গাণিতিক বিশ্লেষণটি সহজভাবে বোঝাতে পেরেছি। আর আপনিও স্পষ্ট ধারণা পাবেন চলছি বছর আপনার আয়-ব্যয় কেমন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫