ভ্যালেন্টাইন ডে-এর উপহার নিয়ে নিশ্চয় অনেকটা ভাবনা চিন্তা করে ফেলেছেন। প্রতি বছরের মতো একই ধরনের উপহার তো বাজারে গেলেই কিনতে পাওয়া যায়।
জ্যোতিষের বিচারে এক একটি রাশির সঙ্গে এক এক ধরনের উপহার অতি শুভ। যা শুধু উপহার প্রাপককে খুশি করে তাই নয়, তার সারা বছরকে করে তোলে শুভ ও আনন্দময়।
প্রতিটি রাশির যে চারিত্রিক ও গ্রহগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা বিশ্লেষণ করে প্রতি রাশির জাতক-জাতিকার জন্য কিছু বিশেষ উপহারের কথা তুলে ধরা হলো। উপহারগুলি সাধারণ। কিন্তু প্রতিটি রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রেমের উপর বিভিন্ন গ্রহের প্রভাব রয়েছে। সেই অনুযায়ী বাছাই করা হলো উপহার।
তবে রাশিভিত্তিক আলোচনার আগে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন, যেকোনো রাশির জাতকদের তার সঙ্গিনীর কাছে ভ্যালেন্টাইন ডে’র মূল চাহিদা একটি একটি সুন্দর একান্ত সন্ধ্যা। সঙ্গে পছন্দের রেস্তরাঁয় মনের মতো খাবার থাকলে সেটি তাদের অনুভূতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
এবার দেখে নেওয়া যাক রাশিভিত্তিক উপহারের তালিকা।
মেষ: (২১ মার্চ – ২০ এপ্রিল)
মেষ জাতক-জাতিকারা সুন্দর কথা খুব পছন্দ করেন। তাই এদের জন্য একটি গ্রিটিং কার্ড ও তাতে হাতে লেখা কয়েকটি লাইন খুবই ভালো উপহার। সঙ্গে একটি মিষ্টি এসএমএস। আর একসঙ্গে কোনো চলচ্চিত্র দেখার পরিকল্পনা মেষ জাতক-জাতিকাদের চূড়ান্ত আনন্দ দেবে।
বৃষ: (২১ এপ্রিল – ২১ মে)
বৃষ জাতক-জাতিকারা প্রেমিক মনের। মোমের নরম আলোয় খাওয়া দাওয়া, সঙ্গীতের সিডি, সিল্কের কাপড় ও ঝলমলে পোশাক এদের খুবই পছন্দের। উপহার হিসেবে ‘বডি স্পা’ এদের আনন্দিত করবে।
মিথুন: (২২মে – ২১ জুন)
মিথুন জাতক-জাতিকাদের মনের মধ্যে নানা ভাবনা-চিন্তা খেলা করে। এদের জন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা খুবই ভালো। খুব সাধারণভাবে প্রেমের প্রকাশ করলে এরা খুশি হয়। একই ফ্রেমে দু’জনের ছবি এদের জন্য সঠিক উপহার।
কর্কট: (২২ জুন – ২২ জুলাই)
কর্কট জাতকদের মনের পথটি ‘পেট’ হয়ে যায়। তাই তাদের জন্য ভালো খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন প্রেম নিবেদনের সব থেকে কার্যকারী পন্থা। জাতিকাদের উপহার হিসেবে দেওয়া যেতে পারে একটি ‘হার্ট’ আকারের কেক। তবে একটি মিষ্টি এসএমএস করতে ভুলবেন না যেন।
সিংহ: (২৩ জুলাই- ২৩ আগস্ট)
প্রেমের ব্যাপারে এরা খুবই আবেগপ্রবণ। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর নিজের হাতে বানানো খাবার এদের পক্ষে সব থেকে ভালো উপহার। একসঙ্গে গোটা সন্ধ্যা কাটান। প্রিয় সঙ্গীত সিংহ জাতক- জাতিকাকে আপ্লুত করবে। সঙ্গে ছোট কিন্তু আন্তরিক যেকোনো উপহার চলতে পারে।
কন্যা: (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)
কন্যা জাতকরা তার প্রেমিকাকে খুশি করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তাই কন্যা জাতকদের এই চেষ্টার প্রতি সম্মান জানালেই তারা সব থেকে বেশি খুশি হন। কন্যা জাতিকাদের ভোরবেলার কাগজের সঙ্গে পাঠিয়ে দিন একটি কবিতা। কিংবা সন্ধ্যের কফিটি বানিয়ে দিন তাকে উপহার দেওয়া কফির পেয়ালাতে। দেখবেন তার মতো খুশি আর কেউ হবে না।
তুলা: (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)
তুলা জাতক-জাতিকারা প্রেমিক মনের। ফুল এদের খুব পছন্দ। সঙ্গে যদি কোনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যযুক্ত স্থানে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা যায় তবে তারা সবথেকে বেশি খুশি হবেন। মশলাদার খাবার এদের প্রিয়। তাই উপহার হিসেবে রেস্তরাঁয় গিয়ে রাতের খাওয়ার পরিকল্পনাও মন্দ নয়।
বৃশ্চিক: (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)
বৃশ্চিক জাতক-জাতিকারা সাধারণত এই দিনটিকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করেন। তাই তার সঙ্গী বা সঙ্গিনী তার পরিকল্পনায় খুশি হলে তারা সবথেকে বেশি আনন্দ পায়। এটা তাদের কাছে সবথেকে বড় উপহার। এর সঙ্গে যদি বৃশ্চিক জাতক জাতিকাদের কোনো গানের অনুষ্ঠানের বা কোনো খেলার টিকিট উপহার দেওয়া যায় তবে তারা খুবই খুশি হবে।
ধনু: (২৩ নভেম্বর –২১ ডিসেম্বর)
ধনু জাতক কিংবা জাতিকাদের লম্বা গাড়ি সফরে নিয়ে যেতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে এক বাক্স চকলেট কিংবা কেক। হাসির সিনেমা বা হাস্য কৌতুকের অনুষ্ঠান দেখার পরিকল্পনা করতে পারেন।
মকর: (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)
মকর জাতকদের অবাক করতে পারেন একটা আচমকা বাইরে খাবার পরিকল্পনায়। জাতিকাদের উপহার দিতে পারেন ‘বিউটি পার্লার’-এ বেশ কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ। একসঙ্গে বেড়িয়ে কেনাকাটার পরিকল্পনা করলে দারুণ আনন্দ পাবে মকর জাতিকারা।
কুম্ভ: (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)
কিছু সাধারণ কিন্তু আন্তরিক, এমন উপহারই ভালো লাগে কুম্ভ জাতক- জাতিকাদের। বাড়িতে বিশেষ রান্নার পরিকল্পনা, একসঙ্গে কয়েকজন বন্ধুদের জড়ো করে খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠানও কুম্ভ জাতক-জাতিকাদের আনন্দ দেবে। সঙ্গে থাকতেই পারে ছোট কোনো উপহার।
মীন: (১৯ ফেব্রুয়ারি –২০ মার্চ)
ফুল মীন জাতক-জাতিকাদের প্রিয়। তবে চিরাচরিত লাল গোলাপের বদলে অর্কিড দিলে বেশ খুশি হবে মীন জাতক-জাতিকারা। একসঙ্গে সময় কাটালে মীন রাশির মানুষরা খুশি হবেন। সঙ্গে আপনার মনের কথা লেখা একটা কার্ড থাকলে মন্দ হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫