ঘরের রঙের সঙ্গে ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে পর্দার রং। বাস্তুমতে ঘরের রং নিয়ে আগেই আলোচনা করা হয়েছে।
বাস্তুমতে পর্দা শুধু আব্রু রক্ষা, সৌন্দর্য বৃদ্ধি অথবা রুচির পরিচায়ক নয়, ইতিবাচক এনার্জি উৎপাদনেও পর্দার গুরুত্ব রয়েছে।
যদি আমরা লক্ষ্য করি তবে বুঝতে পারব, কোনো ঘরে প্রবেশ করার পর পর্দার রং দেখলেই কারো মনে শান্তি বিরাজ করে, কোনো ঘরে প্রবেশ করলে মনে উৎসাহ জন্ম নেয়, আবার কোনো ঘরে প্রবেশ করলে পর্দার রং দৃষ্টিকটূ বলে মনে হয়।
প্রত্যেক ঘর যেমন আলাদাভাবে ব্যবহার করা হয়, বাস্তুমতে ঠিক তেমনি প্রতি ঘরের রং আলাদা হওয়া উচিত।
প্রথমে পর্দার রঙের কথা। বাস্তুমতে, ঘরের জানলায় দু'টি স্তরে পর্দা টাঙানো উচিত। প্রথম স্তরের পর্দা যেটি আকারে ছোট। সেটি জানলার মাপে হবে। এই পর্দা মূলত বাইরের ধুলা-বালি ও অশুভ সমস্ত প্রভাবকে আটকে দিতে সাহায্য করবে।
অপরটি বড় মাপের। এটি দেওয়ালের সঙ্গে ঝোলানো থাকবে। এটি মূলত অন্দর সজ্জার সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত। এই পর্দার রং ঘরের ভিতরের মানুষকে প্রভাবিত করবে।
এবার দেখে নেওয়া যাক কোন ঘরে কি ধরনের পর্দা লাগানো শুভ।
পূর্বমুখী ঘরে সব সময় সবুজ পর্দা টাঙানো ভালো। এক্ষেত্রে সবুজের নানা ধরনের ব্যবহার করা যেতে পারে। পশ্চিম দিকে টাঙানোর সময় পর্দার রং হবে সাদা। যাদের সম্পূর্ণ সাদা পর্দা লাগাতে সমস্যা আছে তারা সাদার কাছাকাছি কোনো পর্দা ব্যবহার করতে পারেন।
অনেক ক্ষেত্রে সাদা নেটের পর্দা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উত্তরমুখী ঘরে পর্দার রং হবে নীল। তবে ঘরের রঙের সঙ্গে নীল মানানসই না হলে নীলের কাছাকাছি রং ব্যবহার করা যেতে পারে। দক্ষিণমুখী ঘরে এই পর্দাই লাল রঙের হবে। পিংক, কমলা বা গৈরিক রং ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাস্তু মেনে কোন ঘরের দেওয়ালের রং কি হবে আরও একবার জেনে নিন?
শোয়ার ঘরের রং যত হালকা হবে তত মানসিক শান্তি এবং পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর হবে। তাই গোলাপি, আকাশি নীল বা হাল্কা যে কোনো রং এই ঘরের জন্য উপযুক্ত। এর সঙ্গে প্রথম স্তরের পর্দাটি হালকা রঙের এবং দ্বিতীয় স্তরের পর্দা হবে কিছুটা উজ্জ্বল রঙের।
ড্রইংরুমের দেওয়ালে করুন ক্রিম, সাদা বা বাদামি রং। রান্নাঘর মানেই তেল-মশলা-রান্নার ঝাঁঝের দাপট। তাই লাল ও কমলা রং- এই ঘরের জন্য পর্দা দিন প্লাস্টিকের। বাকি রইল স্নান ঘর। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, সাদা বা ফিকে নীল রং থাক স্নান ঘরের জন্য। পর্দা থাকবে স্বচ্ছ বা সাদা রঙের।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫