কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): প্রেম দিবসে ভাষাকে ভালোবেসে পথ পেরিয়ে কলকাতা থেকে ৩৫০ কি.মি. দূরের ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন ১৫ জন ভারতীয়। উদ্দেশ্য ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।
এ উপলক্ষে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কলকাতা প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান লেখিকা শাহিন আরা সুলতানা বলেন, একজন বাংলাদেশি হিসেবে এরকম একটি মহৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। ভাষাকে কেন্দ্র করে যখন কোনো অনুষ্ঠান হয় তার আবেদন, আবেগ অনুভূতিটাই হয় আলাদা। আসলে ভাষাকে সূত্র করেই আমরা আজ এক।
সাইকেল র্যালির শুভসূচনা করে পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ খুব একটা ভালো জায়গা। আমি যখন পদ্মা নদীর মাঝি শুটিং করেছিলাম তারপর থেকে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষজন অনেক ভালো রয়েছে। এমন একটি দেশে আপনারা যাচ্ছেন খুবই আনন্দের ব্যাপার। গেলেই দেখতে পারবেন এপার-ওপারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, একই জায়গা, একই ভাষা। আপনারা ভালো করে ঘুরে আসুন এটাই কামনা করি।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রেস শাখার প্রথম সচিব রঞ্জন সেনের জানান, এরকম উদ্যোগে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনকে সব সয়ম পাশে পাবেন।
১৪-২১ ফেব্রুয়ারি ৭ দিনের যাত্রা পথে তারা উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর, বারাসাত, বনগাঁ হয়ে বেনাপোল পৌঁছাবেন। সেখান থেকে নড়াইল, ভাটিয়াপাড়া, ভাঙ্গা, মাওয়া হয়ে ২১ তারিখ ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
১৫ জনের এই দলে সমাজের বিভিন্ন ধরনের মানুষ রয়েছেন। টিমের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি তপন কুমার রায় (৭১) বলেন, এনিয়ে তিনবার বাংলাদেশে যাচ্ছি। আসলে আমারা এক। রাজনৈতিক ব্যবধান বাদ দিলে ভাষা, সংস্কৃতিতে আমরা এক। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর মাথায় রেখে এবং ভাষাকে ভালোবেসে আমাদের এই বাইসাইকেল র্যালির ভাবনা।
টিমের সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য দীপ কুমারের (১৭) অভিমত, পরিবারের কাছ থেকে শুনেছি বাংলাদেশের আতিথিয়েতা বিশ্বখ্যাত। পাশাপাশি ভাষার পূণ্যভূমি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ কেমন তাই জানতেই আমি সাইকের র্যালিতে অংশ নিয়েছি।
টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বরোজিত রায় এবং বুদ্ধদেব দাস। তাদের অভিমত, ভাষায় বোঝাতে পারব না আমাদের কাছেও ২১ ফেব্রুয়ারি কতটা আবেগ? বলতে পারেন ভাষার প্রতি ভাষার মাসে ভাষা শহীদদের সম্মান জনাতেই আমাদের এই উদ্যোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
ভিএস/এমএমজেড