আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাসে ২০২৩ সালের নির্বাচন অভূতপূর্ব। বিজেপি সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর যে পরিবর্তন এসেছে, তার একটা চিত্র এখানে পরিলক্ষিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা।
এদিন (১৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন নিয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করার পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি ভোটার, ভোটকর্মী, নিরাপত্তা কর্মীসহ ভোটের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
দীর্ঘ ৩৫ বছর ত্রিপুরা রাজ্যে নির্বাচনের নামে সাইন্টিফিক রিগিং করতো মন্তব্য করে ডা. মানিক সাহা বলেন, সাইন্টিফিক রিগিং করতো আর বলতো, মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আগে এমনও হয়েছে যে, রিগিং করতে যাদের পাঠানো হতো, তারা উৎসাহিত হয়ে এত পরিমাণে ভোট দিতো, যেগুলো ওই বিধানসভা আসনের ভোটারের চেয়েও বেশি সংখ্যক হয়ে যেত। কিন্তু এবারই প্রথম সাইন্টিফিক রিগিং ছাড়া প্রথমবারের মতো বাস্তবে মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। এমন সুন্দরভাবেও যে নির্বাচন হতে পারে, মানুষ প্রথমবার দেখতে পেয়েছেন।
সেই সঙ্গে এমন সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন যাতে আগামী দিনেও অনুষ্ঠিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মানুষ শান্তি-সম্প্রীতি চায় বলেও অভিমত তার। সেই সঙ্গে তিনি আরও বললেন, কিছু রাজনৈতিক দল অশান্তির পরিবেশ তৈরি চেষ্টা করে তবে তারা এবার সফল হয়নি। তাই এবার রাজ্যে ৮৯.৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বিজেপি আবার বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসছে, তাই জয়ের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত বলেও জানান ডা. মানিক সাহা। তিনি বলেন, এককভাবে বিজেপি ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৩৬টি আসন পেয়েছিল। এবার আরও বেশি আসন পাবে বলে জানান তিনি।
জোট শরিক আইপিএফটিকে এবার নির্বাচনে পাঁচটি আসন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তারা ফলাফল ভালো করবে বলে আমি আশাবাদী। বাম কংগ্রেস জোট কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। বরং এই জোটের জন্য তাদের ফল আরও ভালো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এসসিএন/এনএস