ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

কলকাতা: ৫২ বছর আগে পরাধীনতার শেকল ভেঙে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীন হয় বাঙালি জাতি। স্বাধীনতা পায় বাংলাদেশ।

২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশ এবার ৫২ বছরে পা দিল। সেই দিনটাকে স্মরণ করে বিদেশের মাটিতে যে শহরে প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উঠেছিল, কলকাতার সেই ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।

দিনটি উপলক্ষে ডেপুটি হাইকমিশনার অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, এর চেয়ে আবেগের, এর চেয়ে ভালো অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না। আজ যেটা কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন, বিদেশের মাটিতে প্রথম এখানেই বাংলাদেশের পতাকা উঠেছিল। ৫২তম স্বাধীনতা দিবস হিসেবে সেই ভবনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলাম। প্রত্যেক বছরই সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি সেসব মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের যারা সেই সময় কলকাতার এ ভবনটি বাংলাদেশ মিশনে পরিণত করেছিল। আর তাদের যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা নিজেদের অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করি, সেই মিশনে ভবনে এখন আমরা দায়িত্বে আছি এবং সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পেরে।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর ডেপুটি হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর পতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মিশনের কর্মকর্তারা এবং পরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের সেই স্বাধীনতার জোয়ার এসেছিল পশ্চিমবঙ্গেও। উচ্ছ্বসিত ছিল ভারত। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত।

এ বিষয়ে কলকাতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসা অফিসার আলমাস হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী চির অটুট। স্বাধীনতার লগ্ন থেকে ভারত যেভাবে বাংলাদেশকে যে সহায়তা দিয়েছিল এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ভারতের তৎকালীন সরকার প্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আমি একজন বাংলাদেশি হিসেবে কলকাতায় দায়িত্বে থেকে উপলব্ধি করেছি কলকাতার মানুষ কতটা বাংলাদেশপ্রেমী। কতটা তারা বাংলাদেশকে হৃদয়ে ধারণ করে তা উপলদ্ধি করেছি। মুক্তিযুদ্ধে ভারত যে সহযোগিতা করেছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভারত যেভাবে সম্পৃক্ততা দেখিয়েছিল আমরা তা বাঙালি হিসেবে কখনো ভুলি না।

দুই বাংলার বাঙালির শুধু ভাষার সাদৃশ্য নয়, হৃদয়ে রয়েছে এক অন্তরের মিল। যে স্বাধীনতায় আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসীও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেসব সাধারণ কলকাতাবাসী আজ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশবাসীকে।  

মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সম্মান প্রাপক অধ্যাপক পবিত্র সরকার বলেন, নিয়াজীর আত্মসমর্পণ যখন হচ্ছে তখন আমি শিকাগো শহরে। সেই ছবি আমেরিকার প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমে ভেসে উঠেছিল। ওই স্থানে বসে আমরা উল্লাস করেছিলাম। সার্বিক শুভেচ্ছা জানাই বাংলাদেশবাসীকে।  

শহরবাসী শেখ সামাদ বলেন, আমার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আমাদের কাছেও গর্বের। এ স্বাধীনতায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অবদান ছিল। সে কারণে দিনটা আমাদের কাছেও গর্বের।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
ভিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।