কলকাতা: বাংলাদেশে আর্থিক খাতে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ও তার পাঁচ সহযোগীকে আগামী ৪ জুলাই ফের আদালতে তোলা হবে।
বুধবার (৭ জুন) কলকাতার নগর দায়রা আদালতের সিবিআই স্পেশাল কক্ষ-৩-এর বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে তোলা হলে বিচারক পরবর্তী শুনানির দিন ৪ জুলাই ধার্য করেন।
অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না অ্যাডজার্নমেন্ট পিটিশন (এই দিনের স্থগিতাদেশ) দায়ের করেন।
তবে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে জানা গেছে, পি কে হালদার বাংলাদেশে যেতে চাচ্ছেন না। তিনি ইডিকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তার প্রাণ নিয়ে সংশয় আছে। তাকে যেন কোনোভাবে বাংলাদেশের হাতে তুলে না দেওয়া হয়।
ইডি সূত্রে আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে প্রাণেশ কুমার হালদার নামে যিনি কলকাতার জেল হেফাজতে আছেন, আদতে তিনি পি কে হালদারের ভাই নন। প্রাণেশ হিসেবে যিনি বন্দি আছেন তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার বাসিন্দা, একজন রিকশাচালক।
এক সময় পি কে হালদারের ভারতের বাড়িতে কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকা নিজের ভাই প্রাণেশকে আড়াল করতেই কালনার ওই ব্যক্তিকে ভাই বলে সামনে আনতেন পি কে হালদার।
বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা পি কে হালদারসহ তার পাঁচ সহযোগীকে গত বছরের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এরপর থেকে ভারতের জেলে বন্দি রয়েছেন হালদার ও তার সহযোগীরা। পি কে হালদার ও তার অন্য সহযোগীদের রাখা হয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এবং নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা আছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২৩
ভিএস/এমজেএফ