ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায়ও হু হু করে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৩
কলকাতায়ও হু হু করে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে গেল কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ শাক-সবজির বাজারে দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। সবজির বাজার দর আকাশ ছোঁয়া! 

অনেকের ভাষ্যে, করোনার সময়ও দর এতো ঊর্ধ্বমুখী ছিল না।

অবশেষে সাধারণের নাভিশ্বাস ওঠায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সরেজমিনে নামছে মমতার সরকার।

উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা, বাজারগুলিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ রুপি কেজি। কয়েকদিন আগেও এই মরিচ সাধারণ মানুষ কিনেছিলেন জায়গা বিশেষে কেজি ৮০ থেকে ১০০ রুপি করে।  

টালিগঞ্জ খুচরা বাজারের বিক্রেতা সঞ্জয় বলেছেন, গত ৩০ জুন ২০০ রুপি কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি। শনিবার (১ জুলাই) তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০০ রুপি প্রতি কেজি। করোনার সময়ও কাঁচা মরিচ ৩০০ রুপিতে বিক্রি করিনি। আজ যেটা করতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রেতারা যারা ১০০ গ্রাম মরিচ কিনতেন তারা ৫০ গ্রাম নিচ্ছেন। কার্যত আমাদের লাভের গুড় পিঁপড়ে খাচ্ছে।

কাঁচা মরিচের সঙ্গে দাম বেড়েছে টমেটো, বেগুন, উচ্ছে, করলাসহ সব সবজির। সব সবজি কেজি প্রতি ১০০ রুপি পার করেছে। যার কারণে বাজারে এসে সবজিতে হাত দিলেই যেন ছ্যাঁকা লাগছে সাধারণের। সবজি থেকে শুরু করে মশলাপাতি, শেষ কয়েকদিন লাফিয়ে বেড়ে চলেছে সবকিছুর দাম। বাজারে প্রায় সব সবজির দাম আকাশছোঁয়া।  

কলকাতার বাজারে কাঁচা মরিচের পাশাপাশি ধনিয়া পাতা ২৫০ রুপি, ক্যাপসিকাম  ১২০ থেকে ১৮০ রুপি কেজি, বেগুনের দর ১২০ থেকে ১৫০ রুপি। টমেটো ১২০ রুপি, আদা ৩০০ এবং রসুন ২০০ রুপি প্রতি কেজি। এরমধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে আলু (২০ রুপি) এবং পেঁয়াজ  (৩০ রুপি)।

খুচরা বাজারে বাজার করতে আসা শিউলি ভট্টাচার্যর অভিমত , কী করব বলুন, দাম বেশি হলেও কিনতে হবে, খেতে তো হবে! 
তার পাল্টা প্রশ্ন, কেন বাড়ছে বলুন তো দামটা? না আছে বন্যা, না আছে খরা। শুধু দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্চ নয়, উত্তর কলকাতায় চিত্রটিও একই রকম।  

উত্তর কলকাতার হাতিবাগান বাজারের বিক্রেতা মনতোষ সরকার বলেছেন, অনেক ক্রেতাই ভুল বুঝছেন আমাদের। প্রতিদিন যদি পাইকারি বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ে তাহলে কি করে ক্রেতাদের বোঝাবো? কেন দাম বাড়ছে সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছেও নেই। যেমন কিনছি সেই রকম বিক্রি করছি।

এমন পরিস্থিতিতে এদিন (১ জুলাই) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকে বিভিন্ন বাজারে সরজেমিন করার দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যের টাস্ক ফোর্সকে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।  

রোববার (২ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে কলকাতার বাজারে বাজারে পরিদর্শন। মূলত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই মুখ্য সচিব দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছিলেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসবে। আশা করছে মমতার সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।