কলকাতা: চলতি মৌসুমে ভোজনরসিক বাঙালিরা অপেক্ষায় থাকেন ইলিশ মাছের জন্য। পশ্চিমবঙ্গের সেই ভোজনরসিক বাঙালিদের জন্য সুখবর।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) কমবেশি প্রায় ৫০ টন ইলিশ এসেছে দিঘার মোহনার বাজারে। ইলিশ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা।
মাছ বিক্রেতারাও জানাচ্ছেন, সাইজ ও ওজন দুটিই খারাপ নয়। পাইকারি বাজারে ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের বর্তমান বাজার দর কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ রুপি। এক কেজি ওজনের দাম পড়ছে ৮০০ থেকে ১০০০ রুপি। আবার তার চেয়ে বড় সাইজের পাইকারি বাজারে দাম পড়ছে ১১০০ থেকে ১৫০০ রুপির মধ্যে।
আড়তদাররা জানান, ইলিশের পাইকারি দর এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। তবে এভাবে জোগান থাকলে খুচরা বাজারে এবার ইলিশের দর সাধারণের সাধ্যের মধ্যেই থাকবে।
সাত থেকে ১০ দিন আগে ট্রলারগুলো মাছ ধরতে বেরিয়েছিল সমুদ্রে। মাঝ সমুদ্রে ইলিশ পাওয়ার অনুকূল আবহাওয়া দেখা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। বেশকিছু ট্রলার ইতোমধ্যে দিঘায় এসেছে। আরও ট্রলার মাঝ সমুদ্রে আছে, সেগুলো ফিরবে।
খুব শিগগিরই রাজ্যটির বিভিন্ন খুচরা বাজারে আমদানি হবে দিঘায় উৎপাদন হওয়া ইলিশ। বিগত তিন বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে তেমনভাবে দেখা মেলেনি ইলিশের। ফলে দামও ছিল চড়া।
সে বছরগুলো মিয়ানমারের ইলিশ ছেয়ে ছিল বাজারময়। ভালো সাইজের ইলিশের দাম সাধ্যের মধ্যে থাকলেও স্বাদ ছিল না। তবে শুধুমাত্র পূজার মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এসেছে। তার স্বাদের চাহিদা আকাশছোঁয়া থাকলেও দাম মোটেও আয়ত্তে ছিল না। ভারতীয় মুদ্রায় শুরুই হতো ১৮০০ থেকে ২০০০ এবং ২৫০০ রুপি। ফলে সেসব মাছ বাংলার জন্য এলেও ভিনরাজ্যে চলে যেত বলে অনেকের অভিযোগ আছে।
তবে মৌসুম শুরু হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে ভালো পরিমাণে ইলিশের দেখা মেলায় মনে হচ্ছে এবার দামও থাকবে বাংলার ভোজনরসিক বাঙালির আয়ত্তেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
ভিএস/আরবি