কলকাতা: করোনার আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই চীনে দেখা দিয়েছে ‘রহস্যময় নিউমোনিয়া’। চীনে শিশুদের মধ্যে বাড়েছে নিউমোনিয়ার প্রকোপ।
রাজস্থান, কর্নাটক, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা এবং তামিলনাড়ু। কেন্দ্রের তরফে এই ছয়টি রাজ্যের মেডিকেল টিমকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এই মর্মে যে, তারা যেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত থাকে। উত্তরাখণ্ডের তিনটি জেলা চামোলি, উত্তরকাশী, পিথোরাগড় চীন সীমান্তে রয়েছে। সেসব জেলার প্রশাসনকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি স্বাস্থ্য কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। শ্বাসকেষ্টের বিষয়ে একই বার্তা দেওয়া হয়েছে হরিয়ানা সরকারকেও।
রাজস্থান সরকার জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক নয়। তবে রাজ্যটির স্বাস্থ্য কর্মীরা সজাগ রয়েছে। হাসপাতালে শিশু বিভাগ এবং মেডিসিন বিভাগকেও প্রস্তুত থাকার কথা বলেছে রাজ্যটির সরকার। গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুশিকেশ পটেল জানিয়েছেন, কোভিড অতিমারির সময় স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করা হয়েছে। চীনের পরিস্থিতি দেখে তারা আগেভাগেই সেই পরিসেবার উপর জোর দিয়েছে। কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতর, তাদের নাগরিকদের মৌসুমি ফল খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
জানা যায়, চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিয়াওনিং প্রদেশের শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। শিশুদের ফুসফুসে ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ও কাশির ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। যা নিয়ে ভারতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও এনিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানাচ্ছে, শিশুদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগের প্রকোপের জন্য মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া। হু-র মতে, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, যা সাধারণত শিশুকে প্রভাবিত করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মুলত, চীন গত বছরের ডিসেম্বরে লকডাউন তোলে। ফলে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর চীনে এটাই প্রথম শীতের মৌসুম। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম গড়ে উঠেছে। তাই তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে ধীরেধীরে শিশুদের মধ্যেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে এবং বিশেষ কোনও সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
ভিএস/এমএম