আগরতলা(ত্রিপুরা): প্রবল বৃষ্টির কারণে মাটির ঘরের দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের দুই সদস্যের আহত আরো দুইজন। মৃত দুইজন স্বামী-স্ত্রী।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার রানীরবাজার থানাধীন মেখলি পাড়ার ধর্মটিলা এলাকায়।
মৃতের পরিবারের পরিজনরা বুধবার(৩ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রতিদিনের মতো প্রাণের তাঁতের পরিবারের সদস্যরা খাওয়া দাওয়া সেরে মঙ্গলবার(২ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ নিজেদের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বিকট শব্দ হলে আশেপাশের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন, প্রানেসের টিনের বেড়ার ঘরের উপর পাশে থাকা মাটির দেওয়াল ঘর ভেঙে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা রানির বাজার অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের অফিসে ফোন করে খবর দেন। কিন্তু অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের কর্মীরা ফোন রিসিভ করেননি তাই বাধ্য হয়ে তারা নিজেরাই মাটি সরিয়ে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে প্রথমে রাণীরবাজার হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় জিবিপি হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে তাদেরকে জিবিপি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঝুমা তাঁতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
অপরদিকে পরিবারের বাকি ৩ সদস্যকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয় হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু ভোররাতে প্রাণেশ তাঁতির মৃত্যু হয়। তিন মাসের কন্যা সন্তানটি বর্তমানে আই সি ইউ'তে ভর্তি রয়েছে, তার মাথায় আঘাত লেগেছে। অপরদিকে ১৩বছরের কন্যা সন্তানের পায়ে আঘাত লেগে ছিল। তার পায়ের এক্সরে করার পর কোন কিছু পাওয়া যায়নি তাই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিজনরা আরো জানান মৃত প্রাণেশ তাঁতির পরিবার একটি টিনের ঘরে থাকতো। এর পাশেই একটি মাটির ঘর রয়েছে। গত কয়েকদিনের লাগাতার ভারী বৃষ্টির ফলে মাটির ঘরটি বৃষ্টিতে ভিজে নরম হয়ে ভেঙে যায় এবং এই দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বুধবার হাসপাতালে ছুটে যান স্থানীয় বিধায়ক রতন চক্রবর্তী। তিনি এই ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আহতদের সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এদিন হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ নিতে আসা পরিবার-পরিজনরা ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। তারা জানান অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের কর্মীরা যদি ফোন রিসিভ করে ঘটনা স্থলে আসতেন হয়তো মৃতদেরকে বাঁচানো যেত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩,২০২৪
এসসিএন/এমএম