ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় শেষ বেলায় কেনাকাটায় আতর আর টুপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৬
কলকাতায় শেষ বেলায় কেনাকাটায় আতর আর টুপি

কলকাতা: ঈদের কেনাকাটা হবে আর সেখানে থাকবে না আতর-টুপি সে কি হয়! কলকাতার ঈদের বাজারে শেষ লগ্নে ভিড় জমছে টুপি আর আতরের দোকানগুলোতে। বিভিন্ন বাজারে ঈদের নতুন পোশাক, উপহার এবং নানা ধরনের খাবারের উপকরণের দোকানগুলোতে ভিড়, সেই ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে আতর এবং টুপির দোকান।

মানুষ যাচ্ছেন সেসব দোকানগুলোতে আর পছন্দ মতো সংগ্রহ করছেন।

কলকাতার নাখোদা মসজিদ এলাকার পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা গেলো রীতিমতো গন্ধ বিচার করে আতর কিনছেন সৌখিন মানুষজন। আতরের দোকানগুলোর মধ্যে সাজানো শয়ে শয়ে শিশিতে রাখা আছে বিভিন্ন ধরনের আতর। কোনটায় ভরা আছে গোলাপ, কোনটায় জেসমিন, কোনটায় হেনার সুগন্ধ।

টুপির দোকানেও ভিড় রয়েছে মানুষের। কোন টুপিতে কাজ বেশি; সে টুপিতে আগ্রহ বেশি। এর মধ্যে কিছু এসেছে বাংলাদেশ থেকে। কিছু এসেছে আরব থেকে আর কিছু ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে।

এদিকে, আতরে আগ্রহ গন্ধভেদে। কোনো আতরের মধ্যে মেশানো হয়েছে একাধিক গাছের অংশ, গাছের ছাল, ফুলের রেণু। কলকাতার বাজারে গোলাপ, জেসমিন বা মোতিয়া, কিউদা, কেশর, গুল হীনা, জেন্ডা, চম্পা, বকুল, নীল পদ্ম, সাদা পদ্ম, জাফরি, অম্বর, গুলমোহর প্রভৃতির আতর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু ধরনের আতর পাওয়া যাচ্ছে এখানকার বাজারে।

তবে আজকের আধুনিক পারফিউম, ডিওড্রেন্টের যুগেও কীভাবে টিকে আছে আতর! বিক্রেতারা জানালেন, ধর্মের বিষয় যেমন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমননি গুরুত্বপূর্ণ আতরের ঐতিহ্য। যা যুগ যুগ ধরে আতরকে টিকিয়ে রেখেছে আধুনিক সুগন্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।

ভারতে আতর তৈরি হয় মূলত হায়দ্রাবাদে। সেখান থেকেই দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ১০০ রুপি থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার রুপি পর্যন্ত দামের আতর পাওয়া যায় কলকাতার বাজারে। তবে বেশি দামের আতর একমাত্র অগ্রিম বায়না করলেই পাওয়া যায় বলে জানালেন বিক্রেতারা। বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের আতরের চাহিদাও রয়েছে কলকাতার দোকানগুলোতে।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তৈরি হওয়া টুপিগুলোর দাম অপেক্ষাকৃত সস্তা। আর এগুলো পছন্দসই কারুকার্য করা ফলে ক্রেতাদের কাছে প্রথম থেকেই এর চাহিদা যথেষ্ট।

কর্মস্থল কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার আগে আতরের দোকানে জাহাঙ্গীর মণ্ডল জানালেন, ঈদের কেনাকাটার শেষ সময়ে প্রতিবারই আতর আর টুপি কেনেন। কিছু নিজের জন্য বাকিটা উপহার।

আতর বিক্রেতা আজমল খানও খুশি এই বছর ঈদের আগের ব্যবসাতে। আর এই খুশিটাই জুড়ে থাকবে গোটা উৎসব জুড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৬
ভিএস/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।