কলকাতা: সীমাহীন বন্ধুত্বের কথা দিয়ে শুরু হওয়া কলকাতায় ষষ্ঠ বাংলাদেশ বইমেলার তৃতীয় দিনটি ছিল গুণীজন সঙ্গ এবং লালনের গানে প্রায় সম্মোহিত। কলকাতায় শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ছিল নিম্নচাপের বৃষ্টি ভেজা একটি দিন।
শনিবারের সেমিনারের মূল বিষয় ছিল গ্রন্থ নির্মাণ সেতু: লেখক, পাঠক, প্রকাশক এবং নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা। এই বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন লেখক তোবারক হোসেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কবি আসলাম সানি,কবি রবিউল হুসাইন, কামরুল হাসান সায়ক, সাংবাদিক ও কবি পঙ্কজ সাহা, সাংবাদিক ও চিত্রপরিচালক ঋতব্রত ভট্টাচার্য, সাংবাদিক আশিস চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনের কাউন্সিলার (রাজনৈতিক) বি এম জামান হোসেন। কবি রবিউল হুসাইন তার ভাষণে বলেন, বাংলাদেশে লেখকের বই পশ্চিমবাংলায় প্রকাশকরা প্রকাশ করবেন। আর পশ্চিম বাংলার লেখকের বই বাংলাদেশের প্রকাশকরা প্রকাশ করবেন। এটা খুব ভালো উদ্যোগ।
সাংবাদিক ও কবি পঙ্কজ সাহা বলেন, বাংলা ভাষা কোনোদিন অবলুপ্ত হবে না কারণ এ ভাষার শেকড় ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। সভাপতির ভাষণে উপ হাই কমিশনের কাউন্সিলার (রাজনৈতিক) বি এম জামান হোসেন লেখক, পাঠক, প্রকাশক এবং নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা বিষয়ে তার বিস্তারিত ভাবনা তুলে ধরেন।
এর পর মঞ্চে ওঠেন বাংলাদেশর বিশিষ্ট লালন শিল্পী ফরিদা পারভিন। তাঁর গান শোনার জন্য বেশ কিছু মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
মঞ্চে উঠে অপেক্ষমাণ শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে শিল্পী বলেন ‘অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলায় আমার সঙ্গীত পরিবেশন করি। সে ইচ্ছা আজ পূর্ণ হল। সবার শেষে মঞ্চে উঠে আমি রীতিমত অবাক। এখনও এত মানুষ বসে আছেন লালন গীতি শুনবেন বলে। এতে বোঝা যায় লালন কোনও একটি দেশের নয়। আর এই অস্থির সময় লালনের আদর্শই সবার গ্রহণ করা উচিত’।
শিল্পীর কাছে আসতে থাকে একের পর এক অনুরোধ। সময়ের বাঁধন না থাকলে অনুষ্ঠান আরও দীর্ঘায়িত হতো সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আয়োজকদের আশা আগামী দিনগুলিতে আরও জমজমাট হয়ে উঠবে বইমেলা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৫ ঘণ্টা, ৪ সেপ্টেম্বর , ২০১৬
ভি.এস/আরআই