কলকাতা: নোট বাতিল ঘোষণার পর কেটে গেছে তিনটি সপ্তাহ। কিন্তু ডিসেম্বর মাসের এক তারিখে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আক্ষরিক অর্থে মাথায় হাত! ৩০ তারিখ কলকাতাসহ রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতন হয়ে গেছে।
‘পে ডে’ সামাল দিতে ব্যাংক ও এটিএম বুথগুলোতে অর্থের জোগান রিজার্ভ ব্যাংক এক লাফে চার গুণ বাড়ালেও তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। বেতনের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যায় পেনশন ভোগীরা। সকাল থেকেই ব্যাংক ও এটিএম’র সামনে দীর্ঘ লাইন। পেনশনভোগী প্রবীণরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে না পেরে অনেকে মাটিতেই বসে পড়েছেন।
যদিও অধিকাংশ ব্যাংকই গ্রাহকদের দশ হাজার রুপির বেশি তুলতে দিচ্ছে না তবুও নোটের জোগানে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৭৮০ কোটি রুপির নোট এসে পৌঁছেছে। কিন্তু মাস প্রথমে নোটের হাহাকার বিরক্তি বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের।
এতো দিন যারা নোট বাতিলের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে আসছিলেন তারাও মাস পহেলায় যথেষ্ট বিরক্ত। কলকাতা শহরের কিছু ব্যাংকে নতুন ৫০০ রুপির নোট পাওয়া গেলেও গ্রামাঞ্চলে নতুন ৫০০ রুপির নোট পৌঁছায়নি। বেশির ভাগ এটিএম হয় খালি না হয় সেখানে ২০০০ রুপির নোট মিলছে।
রিজার্ভ ব্যাংকের বক্তব্য, চাপ কাটতে সময় লাগবে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ম্যানেজাররা বলছেন, ৯০ শতাংশ মানুষই টাকা তুলতে এসেছেন। এতো বিপুল চাহিদা সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। মানুষ রেগে যাচ্ছেন।
চাপ সামলাতে ব্যাংক এবং এটিএম-এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে বাড়তি গোপন ক্যামেরা। মনে করা হচ্ছে মাসের প্রথম সপ্তাহজুড়েই এই সমস্যা চলতে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
এসএস/আইএ