দেড়শ’ বছর ঘুমিয়ে থাকার পর ১৯৯১ সালে অল্প সময়ের জন্য জেগে উঠেছিল আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে একশ’ ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ব্যারন দ্বীপের এই আগ্নেয়গিরি। তারপর থেকে ফের ঘুমন্ত ছিল।
ব্যারন দ্বীপে কোনো মানুষ থাকে না। সেখানে বিশেষ গাছপালা নেই।
জানা গেছে, ব্যারেন আইল্যান্ডের মাথা থেকে মাঝে মধ্যেই ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগ্নেয়গিরিটি থেকে লাভা বের হতে দেখা গেছে বলেও দাবি করেছেন এনআইও’র গবেষকরা।
এনআইও জানায়, গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে প্রথম একদল গবেষকের নজরে পড়ে, ওই আগ্নেয়গিরি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষা করতে আরেক দল গবেষককে ব্যারন আইল্যান্ডে পাঠানো হয়। তখন তারা আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বের হওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা সকালের দিকে ছাই ও ধোঁয়া বের হতে দেখলেও সন্ধ্যার পর লক্ষ্য করেন, পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গরম লাভা নেমে আসছিল ঝরনার মতো। গবেষকরা জানিয়েছেন, দ্বীপে যাওয়া বিপদজনক বলে তারা সেখানে নৌকা নোঙর করতে পারেননি।
এনআইও’র গবেষক অভয় মুধহলকর ও বি নাগেন্দর নাথ জানান, মাঝে মাঝেই আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বের হচ্ছে, যার স্থায়িত্ব ৫-১০ মিনিট।
আগ্নেয়গিরির দিকে নজর রেখেছেন গবেষকরা। তবে তাদের ধারণা, সেটি থেকে বিপদের কোনো সম্ভাবনা নেই।
১৭৮৭ সালে প্রথম আগ্নেয়গিরিটি জেগে ওঠে। তার পরের ১০০ বছরে মোট পাঁচবার সেটি থেকে লাভা বের হয়েছিল।
ব্যারন দ্বীপের কাছে আছে আরও কিছু আগ্নেয়গিরি। তবে সবগুলোই জলের তলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
এসএস/এএটি/এএসআর