মুখ্যমন্ত্রীকে আগামী ৮ এপ্রিল এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। ওই ভোজসভায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও থাকবেন বলে জানা যায়।
নৈশভোজে হাসিনা-মমতার সাক্ষাৎ কূটনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে একটি সাক্ষাতকারে মমতা অভিযোগ করেছিলেন, তাকে না জানিয়েই ভারত সরকার তিস্তা চুক্তি নিয়ে এগোচ্ছে।
তার এই মন্তব্যের পরেই তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপত্র গোপাল বাগলে।
এরপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্ধকারে রেখে তিস্তা চুক্তির বিষয় এগোচ্ছে ভারত সরকার, এই অভিযোগ করে লোকসভায় এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২৭ মার্চ তৃণমূল সংসদ সদস্য সৌগত রায় ইঙ্গিত দেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কিছুই না জানিয়ে যদি তিস্তা চুক্তির শর্তাবলী চূড়ান্ত হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে কোনোভাবেই তাতে সিল দেবেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দেওয়া নৈশভোজে মমতাকে আমন্ত্রণ অবশ্যই কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার পক্ষে এই আমন্ত্রণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি তিনি উপস্থিতি থাকবেন কিনা সেই প্রসঙ্গেও সরকারিভাবে কোনো তথ্য মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৭
ভিএস/আইএ