একটানা বৃষ্টির ফলে ব্যারেজগুলো থেকে বাধ্য হয়েই পানি ছাড়তে হয়েছে। ফলে নদীর বাঁধ ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বহু গ্রাম।
তিলপাড়া, বৈধরা, ডেউচা ব্যারেজ থেকে পানি ছাড়া হয়েছে। ফলে ময়ূরাক্ষী, ব্রাহ্মণী ও কুয়ে নদীর পানিতে বর্ধমানের কান্দি মহকুমা এলাকার প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। খড়গ্রাম থানার ব্রাহ্মণী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে পাঁচটি গ্রাম। বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা।
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা গণেশ দাস জানান, দক্ষিণবঙ্গে এই প্রবল বৃষ্টির মূল কারণ বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর ঘূর্ণাবর্ত। গত শনিবার ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর ছিল। রোববার (২৩ জুলাই) সেটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডলের ৭.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত অবস্থান করছে।
এর প্রভাবে কলকাতাসহ রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে নিম্নচাপের অবস্থান পরিবর্তন হওয়ায় উপকূলবর্তী ও সংলগ্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা হালকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন গণেশ দাস। তবে আগামী মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ও বুধবার (২৬ জুলাই) পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গসহ কলকাতায় বৃষ্টি চলবে। তারপর পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। পশ্চিমবঙ্গে এবারে বৃষ্টি হলেও এখনও বন্যা দেখা দেয়নি।
বন্যা মোকাবিলার জন্য সিভিল ডিফেন্স ও বিপর্যয় মোকাবিলা টিম নামানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
এসএস/আরআর