বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) বি এম জামাল হোসেন, কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) শেখ শফিউল ইমাম, কাউন্সিলর (কনস্যুলার) মনসুর আহমেদ, প্রথম সচিব (প্রেস) মো. মোফাকখারুল ইকবাল, কাউন্সিলর (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) শাহানাজ আখতার রানু, উপ-হাইকমিশনের কর্মচারী, কলকাতায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা রক্তদান করেন।
দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই প্রথম কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে।
লায়ন্স ক্লাবের কর্মকর্তা সোসি সোনি বলেন, সারাবছরই আমরা কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে যৌথভাবে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করি। এই প্রথম বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) বি এম জামাল হোসেন জানান, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ নামটাই হতো না। তার রক্তের ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না।
একইসঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে। একইদিনে দুই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানকে স্মরণ করে মিশন প্রাঙ্গণে সামিল হয়েছে দুই বাংলার শিক্ষার্থী ও সাধারণ কলকাতাবাসী। তারাও স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেছেন।
দিনটি উপলক্ষে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।
এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) বেকার হোস্টেলে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে’ স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪২ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়ে ধর্মতলা স্ট্রিটের বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে আবাসিক ছাত্র ছিলেন। এরপর বঙ্গবন্ধু ১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আগামী ১৭ আগস্ট বিকেল ৫ টায় রেজা আলি ওয়াশাথ হল, মওলানা আজাদ কলেজ, কলকাতায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ১৫ আগস্ট, ২০১৭
আরআর