অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ৫১টি প্রকাশনা প্রতিবারের মত এবারও বইয়ের সম্ভার নিয়ে এসেছেন। সেই ৬৩ সাল থেকে শুরু হওয়া আমার কর্মজীবনে অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব পালন করে আসছি।
এছাড়া তাঁর স্মৃতি রোমন্থনে উঠে আসে সমরেশ মজুমদার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও অমিতাভ চৌধুরীর কথা।
মুখ্যসচিব কবি কামাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন 'রাজনৈতিক কবি'। যত দিন যাচ্ছে তিনি বিশ্বের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে ঘোষণা করার বিষয়টিও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।
একইভাবে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে নয়াদিল্লিতে আছি। যে বৃষ্টি কলকাতায় হচ্ছে তা খুব দরকার ছিল নয়াদিল্লির বায়ু দূষণ দূর করার জন্য।
এই বৃষ্টির মধ্যেও কষ্ট করে বাংলাদেশ বইমেলায় আসার জন্য তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান কলকাতার পাঠকদের।
সভাপতির সমাপনী ভাষণে তৌফিক হাসান বলেন, কলকাতায় আজ কার্তিকের শেষ, তবুও এই বৃষ্টি। আমরা বাংলাদেশ বইমেলা বলছি বটে, হয়ত বেচাকেনাও হবে, তবে আমাদের মুল উদ্দেশ্য শুধু বই বিক্রি করা নয়। আসল উদ্দেশ্য এক দেশের সাথে আর এক দেশের মানসিক ও সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন।
উদ্বোধন শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনা করেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর। এছাড়া সঙ্গীত পরিবেশনা করেন রবীন্দ্র ভারতী ও বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা। মেলায় মোট স্টলের সংখ্যা ৪৪টি। কিন্তু বাদ সেধেছে ওড়িষ্যা উপকূলে নিম্নচাপের জেরে কলকাতায় শুরু হওয়া বেরসিক অকাল বৃষ্টি। চলবেও তা আগামী ৪৮টি ঘণ্টা।
৯দিনব্যাপী এই বইমেলা প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া শনিবার ও রোববার মেলা চলবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেবেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়:২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
ভিএস/জেএম