শনিবার (২৫ নভেম্বর) পার্ক সার্কাসে অবস্থিত বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র থেকে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণ পর্যন্ত রঙিন শোভাযাত্রা বের হয়।
এতে উপ-হাইকমিশনের পরিবারসহ কর্মকর্তারা, ছাত্র-ছাত্রী ও কলকাতার বহু বঙ্গবন্ধু প্রেমীরা অংশ নেন।
শোভাযাত্রায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠের ঐতিহাসিক ভাষণটি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
বঙ্গবন্ধুর বিদ্যাপীঠ মৌলানা আজাদ কলেজের অডিটরিয়ামে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এ কলেজেরই সাবেক ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল’ মনমুগ্ধকর ভাষণের সম্প্রচারিত অংশটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল। অতপর উপ-হাইকমিশনে আলোচনা অনুষ্ঠানের পর বিশাল পর্দায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়।
পরে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে সম্মাননা পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত ও প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট অচিন রায়।
সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত তার বক্তব্যে বলেন, একটি ভাষণ কীভাবে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তি সংগ্রামের দিকে নিয়ে যায় এবং একটি জাতিকে মুক্তির স্বাদ দেয় তা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই প্রকৃত উদাহরণ। ইউনেস্কো যে ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে তা যথাযথ।
এসময় অচিন রায় তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণই বদলে দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণে বাঙালির জাতির মুক্তির দিশা পুরোপুরি দিতে পেরেছিলেন বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।
উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, ইউনেস্কো মানব সভ্যতার দলিল সংরক্ষণের কাজে নিয়োজিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তটি বাঙালি জাতির একটি গর্বের অধ্যায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ০২১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
ভিএস/এমআরএম/এসআরএস